Advertisement
Advertisement

Breaking News

CBI

গরু পাচারের টাকায় ‘জেহাদের রসদ’, পশ্চিমবঙ্গে ‘কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান’ পেল সিবিআই

বুধবার রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই।

Cattle smugglers funding terror outfits in West Bengal: CBI | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 24, 2020 2:42 pm
  • Updated:September 24, 2020 2:55 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার নিত্যদিনের ঘটনা। এনিয়ে প্রশাসনিক স্তরে বিস্তর তর্জন গর্জন হলেও ‘সর্ষের মধ্যেই ভূত’ রয়েছে তা ফের প্রমাণিত হয়েছে। বুধবার, কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চলা সিবিআই তল্লাশিতে উঠে এসেছে এক বিএসএফ কমানডেন্টের নাম। শুধু তাই নয়, গরু পাচারের টাকা চলে যাচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির কাছে বলেও জানতে পেরেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

[আরও পড়ুন: মাছ ধরার জাল নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসা, মর্মান্তিক পরিণতি মালদহের ২ যুবকের]

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে রীতিমতো কেঁচো খুড়তে কেউটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। জানা গিয়েছে, গরু পাচারকারীদের সঙ্গে বিএসএফ-এর (BSF) একাংশ অফিসার বা জওয়ানের জড়িত থাকার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। গোরুর বদলে কাঁটাতার টপকে সীমান্তের অপর দিক থেকে আসে অস্ত্র। আর সেগুলি চলে যায় সন্ত্রাসবাদীদের হাতে। শুধু তাই নয়, রমরমিয়ে চলে হাওলা বা হুন্ডি ব্যবসা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তার প্রমাণও পেয়েছেন।

Advertisement

বুধবার সকাল থেকে সিবিআই অভিযান চালায় কলকাতার রাজারহাট, সল্টলেক, তপসিয়ায়। এছাড়াও মুর্শিদাবাদের বহরমপুর, লালগোলা এবং শিলিগুড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সল্টলেকের সিটি সেন্টার টু’র পাশেই বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। বর্তমানে ওই বিএসএফ কমানডেন্টের কর্মসূত্রে কর্ণাটকে থাকেন। তবে সূত্রের খবর, এর আগে সীমান্ত এলাকায় কাজ করতেন তিনি। সেই সময় গরু পাচারের ক্ষেত্রে নানাভাবে সাহায্য করেছিলেন সতীশ কুমার। তাঁর বাড়ি থেকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। যা তদন্তে নতুন ককে দিশা দেখাতে পারবে বলেই আশা তদন্তকারীদের। সিবিআইয়ের এফআইআরে চমকে দেওয়ার মতো সব তথ্য রয়েছে। বলা হয়েছে, তদন্তে স্পষ্ট, বিএসএফ ও কাস্টমসের সঙ্গে আঁতাত ছিল মালদহ, মুর্শিদাবাদের স্থানীয় ব্যবসায়ী এনামুল হক, আনারুল শেখ এবং গুলাম মুস্তাফার। বিএসএফ এবং কাস্টমসের একজন করে অফিসারের নামও উঠে এসেছে তদন্তে।

২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে সীমান্তে প্রায় ২০ হাজার গোরু বাজেয়াপ্ত করে বিএসএফ। কিন্তু অদ্ভুতভাবে চোরাপথে মুর্শিদাবাদ-মালদহ দিয়ে বাংলাদেশ পাচারের চেষ্টা রোখা হলেও পাচারকারীর উল্লেখই থাকত না তাদের রিপোর্টে। এরপর কলমের কারসাজিতে গোরু হয়ে যেত ‘বাছুর’। ফলে নিলামে দামও যেত কমে। বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি হতো সরকারের। গোরু পিছু বিএসএফের অফিসারদের দেওয়া হতো ২ হাজার টাকা করে। কাস্টমসের লোকজন পেত ৫০০ টাকা। নিলামের মোট টাকার ১০ শতাংশ দিতে হত বিএসএফ এবং কাস্টমসকে। এব্যাপারে ২০১৮ সালের এপ্রিলে তদন্তে নামে সিবিআই। উঠে আসে সতীশ কুমারের নাম। তিনি তখন মুর্শিদাবাদ ও মালদহের দায়িত্বে থাকা ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়ানের কমান্ডান্ট ছিলেন।

[আরও পড়ুন: একুশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন, তৃনমূলকে টেক্কা দিচ্ছে বিজেপি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement