ছবি: প্রতীকী
ধীমান রায়, কাটোয়া: কাকা মূক ও বধির। জনমজুরি করেন। কাকিমা বাড়িতে একাই থাকেন। সেই সুযোগে কাকিমাকে বারংবার কুপ্রস্তাব দিত ভাসুরপো। আর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মদ্যপবস্থায় কাকিমাকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভাসুরপোর বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়েছেন ওই দিব্যাঙ্গ ব্যক্তিও। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার খেড়ুর গ্রামের। সোমবার রাতে ওই ঘটনার পর মঙ্গলবার প্রহৃত বধূ ভাতার থানায় তার ভাসুরের ছেলে কার্তিক দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত যুবক পলাতক বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খেড়ুর গ্রামের বাসিন্দা বছর তিরিশের ওই বধূ ও তাঁর দিব্যাঙ্গ স্বামী দুজনেই জনমজুরির কাজ করেন। পাশাপাশি বাড়ি বধূর ভাসুরের। ভাসুরের ছেলে কার্তিক বিবাহিত। কিন্তু মাস পাঁচেক আগে কার্তিকের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন। বধূর অভিযোগ, স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকেই কার্তিক তাঁকে কুপ্রস্তাব দি। একাধিকবার কুপ্রস্তাব দেওয়ার পর বধূ তার ভাসুরকেও বিষয়টি জানান। কার্তিকের কৃতকর্মের জন্য তার বাবা মা অপমানও করেন। কিন্তু তারপরেও কার্তিকের ওই ধরনের আচরণ বন্ধ হয়নি বলে জানান বধূ।
প্রহৃত বধূ জানান, সোমবার ভাতার বাজারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো-র কারণে পাড়ার অন্যান্য বাড়িগুলিতে লোকজন কম ছিল। সন্ধ্যার মুখে কার্তিক তাঁর কাকার বাড়িতে যায়। তারপর কাকিমাকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। কুপ্রস্তাব দিতে থাকে বলে অভিযোগ। বধূ জানান মদ্যপবস্থায় কার্তিকের এই আচরণের জন্য তিনি পুলিশকে জানাবেন বলে কার্তিককে হুঁশিয়ারি দেন। অভিযোগ, তখন কার্তিক একটি লাঠি তুলে কাকিমাকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। বধূর স্বামীও ছিলেন বাড়িতে। দেখতে পেয়ে তিনি স্ত্রীকে বাঁচাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়।
তখন মহিলা ও তাঁর স্বামী কোনওরকমে নিজেদের বাঁচিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেন। তখনও কার্তিক দীর্ঘক্ষণ ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ। বধূ চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি করতে থাকেন। অনেক পরে কার্তিক চলে গেলে বধূ ও তার স্বামী বেরিয়ে আসেন। পাড়াপ্রতিবেশীদের জানানো হয়। বধূর বাপের বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে আসেন। মঙ্গলবার কার্তিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বধূ। পুলিশ জানায় ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.