সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক সময়ে চার্জ গঠন করতে পারলেন না সিআইডি আধিকারিকরা৷ ভাগাড়কাণ্ডে জামিন পেয়ে গেল অন্যতম অভিযুক্ত বিশ্বনাথ ঘোড়ই ওরফে মাংস বিশু৷ মঙ্গলবার তার এক সহযোগীর জামিনও মঞ্জুর করেছে আদালত৷ এদিকে মূল অভিযুক্তের জামিন পাওয়ার দিন আদালতে চার্জশিট পেশ করল সিআইডি৷ চার্জশিটে ১২ নাম উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী৷ ৬ জন মূল অভিযুক্ত৷
[স্বাধীনতা আন্দোলনে শহিদ একই গ্রামের ১৪ জন, তবুও নেই কোনও স্মৃতিফলক]
কয়েকদিন আগে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় ভাগাড়কাণ্ডের অন্যতম ‘লিঙ্কম্যান’ সানি মল্লিক। শুধু তাই নয়, চার্জশিটের অভাবে অভিযুক্তদের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে জোরালো সওয়ালও করতে পারছেন না সরকার পক্ষের আইনজীবী নবকুমার ঘোষ। গত ১৯ এপ্রিল বজবজে ভাগাড়কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ। ঘটনার তদন্তে ‘সিট’ বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে একে একে ‘মাংস বিশু’-সহ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে ‘সিট’। কিন্তু প্রমাণের অভাবে গ্রেপ্তারের পরেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যায় প্রদীপ রায় ও সামসুল ইসলাম। এরপর জামিন পায় রাজা মল্লিক ও ভিকি সাইমন্স। ‘মাংস বিশু’কে সঙ্গে নিয়ে নারকেলডাঙা ও মানিকতলার দু’টি হিমঘর থেকে প্রচুর মরা পশুর পচা মাংস বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। পরীক্ষার জন্য সেগুলিকে পাঠানো হয় রাজ্য ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের কাছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্টও এখনও পর্যন্ত ভবানীভবনে জমা পড়েনি।
[পড়েছিল ক্ষুদিরামের পদধূলি, দেউলগ্রামে বিপ্লবীর মূর্তি স্থাপনের দাবি গ্রামবাসীর]
ভাগাড়কাণ্ডে জামিন পেয়ে গিয়েছে বজবজ পুরসভার দুই কর্মীও । জুলাই মাসেই জামিন পেয়ে যায় ইয়ং চাই, মহম্মদ ফিরোজ আহমেদ, সারাফত হোসেন, মহম্মদ গোলা ও উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার জামিন পেয়ে যায় সানিও। জামিনের অপেক্ষায় জেলে দিন গুনছিল মূল অভিযুক্ত ‘মাংস বিশু’ এবং সিকান্দার আলি। তারা মুক্তি পেয়ে গেল। গত ৩ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বিশুকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.