ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার: ফের ভাগাড় কাণ্ড! এবার মরা কুকুর-বিড়াল পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল একজন। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁথির এই ঘটনায় সন্ত্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা।
ঘটনায় পরিষ্কার, প্রশাসন নজরদারি বাড়ালেও এখনও দেদার চলছে পচা মাংস পাচারের কারবার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দেগঙ্গার ক্ষুদ্রমণ্ডলগাঁথি এলাকার একটি ঘেরা জায়গায় বেশ কয়েকদিন ধরে কয়েকজন অচেনা ব্যক্তি আসা-যাওয়া করছিল। সন্ধে নামলেই বাড়ছিল তাদের আনাগোনা। সেখানে কয়েকটি ঘরও রয়েছে। গাড়ি নিয়ে সেখানে ঢুকে যাচ্ছিল তারা। এতে সন্দেহ আরও বাড়ে৷ গেটে তালা থাকায় স্থানীয় মানুষজন ভিতরে ঢুকতে পারেননি। কিন্তু গত দু’তিনদিন ধরেই ওই পাঁচিলঘেরা জায়গার ভিতর থেকে বিকট দুর্গন্ধ আসছিল। গতকাল রাতেও সেখানে ম্যাটাডর ঢোকে। কেন এত দুর্গন্ধ ওখানে? তা সরেজমিনে দেখতেই গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় মানুষজন পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকেন ৷ সেখানে গিয়ে তাঁরা যা দেখেন তাতে চক্ষু চড়কগাছ। লোকচক্ষুর আড়ালে কাটা হচ্ছে কয়েক সপ্তাহ আগের মরাগলা বিড়াল-কুকুর। এই খবর জানাজানি হতেই এলাকায় বিক্ষোভ ছড়ায়। একটি গাড়ি আটক করে ভাঙচুর চালায় স্থানীয় জনতা। কিন্তু, অন্ধকারের সুযোগে চার-পাঁচ জন সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে গ্রামবাসীদের হাতে একজন পাচারকারী ধরা পড়ে। আটক ব্যক্তি জানিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন হোটেলে, যশোর রোডের দু’ধারের একাধিক রেস্তোরায় এই মরা পশুর মাংস পাচার করা হত। তবে কি মাটন বিরিয়ানির আড়ালে কুকুর-বিড়ালের পচা মাংসই খেয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ? এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
[খাস কলকাতায় উদ্ধার ১০ লক্ষ টাকার জাল নোট, গ্রেপ্তার চক্রের ২ পাণ্ডা]
গাড়িতে তল্লাশি চালিলেও পাওয়া গিয়েছে একের পর এক সার দেওয়া পচা মাংস। দুর্গন্ধে তখন টেকা দায়। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তবে পুলিশ আসতে দেরি করে। অভিযুক্ত যুবক জানিয়েছে, ম্যাটাডরে করে আনা ওইসব জিনিস খাসির মাংস বলে বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁতে পাচার করা হত। এই ভাগাড় কারবারিরা দেগঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। তবে কে বা কারা এই পাচারের সঙ্গে জড়িত আছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ভাগাড় কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মাংস-বিশু জামিনে খালাস পেয়েছে। তবে কি জামিন পেয়ে সে ফের ব্যবসা শুরু করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ভাগাড়ের মাংস ঠেকাতে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর ও কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে শহরের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় ফের তল্লাশি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
[এবার বাড়িতে জল জমলে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা!]
ছবি: প্রতীকী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.