Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলিশকর্মীকে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ, সিউড়িতে আটক ব্যবসায়ী

সতর্কীকরণ সত্ত্বেও পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ।

Carcass meat recovered arrested shop keeper in Suri
Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:July 25, 2018 6:28 pm
  • Updated:July 25, 2018 6:28 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সতর্কীকরণ সত্ত্বেও পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠল সিউড়িতে। ভাগাড় কাণ্ড নিয়ে চাপানউতোর কিছুটা থিতিয়ে এসেছে। ঠিক সেই সময়ই পোকাওয়ালা মাংস পুলিশকর্মীকে বিক্রি করল দোকানি। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাংস ব্যবসায়ী শেখ দুলু ও শেখ গাবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি শহরের বেণীমাধব মোড়ের একটি স্থায়ী মাংসের দোকানে।

[অসামাজিক কাজে আপত্তি ভাইপোর, প্রকাশ্যে গুলি কাকার]

অভিযোগকারী পুলিশকর্মীর নাম কল্যাণ চক্রবর্তী। তিনি হুগলিতে কর্মরত। মঙ্গলবার রাতে বীরভূমের পুরন্দরপুরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন কল্যাণবাবু। সেদিন রাতেই স্ত্রী তীথিদেবীকে সঙ্গে নিয়ে সিউড়ি শহরে খাসির মাংস কিনতে আসেন ওই পুলিশকর্মী। ২৫০ টাকায় ৫০০ গ্রাম মাংস কিনে রাত ন’টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যান। রাতে মাংস ফ্রিজেই রাখা হয়। এদিন সকালে মাংস রান্নার জন্য বের করতেই ঘটে বিপত্তি। অভিযোগ, প্যাকেটের মুখ খুলতেই দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্যাকেটর মধ্যে থেকে পোকাও বেরিয়ে আসে। এই ঘটনা দেখে কল্যাণবাবু দেরি করেননি। পচা মাংস নিয়ে সস্ত্রীক শেখ দুলুর দোকানে হাজির হন। মাংস ফিরতেই কোনওরকম মন্তব্য করেননি ওই ব্যবসায়ী। মাংস নিয়ে কল্যাণবাবুকে টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়। অন্য কেউ হলে এখানেই থেমে যেতেন। কিন্তু পুলিশকর্মী কল্যাণ চক্রবর্তী সোজা সিউড়ি থানায় যান। মাংস ব্যবসায়ী শেখ দুলু ও শেখ গাবুর বিরুদ্ধে পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

[স্ত্রীকে খোরপোশের ২৪ হাজার টাকা খুচরোয় দিলেন স্বামী, হতবাক আদালত]

অভিযোগ পেয়ে দুই ব্যবসায়ীকেই আটক করেছে পুলিশ। শেখ দুলুর বক্তব্য, মঙ্গলবার সকালে কাটা মাংসই রাতে বিক্রি হয়েছে। তারপরেও এমন ঘটনা কেন ঘটল জানি না। শেখ দুলুর বাড়ি সিউড়ির কাটাবুনি পাড়ায়। শেখ গাবুর বাড়ি নলহাটির চাতরা গ্রামে। সে মাংসের দোকানে ছাগল সরবরাহ করে থাকে। পচা মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠলেও শহরের মাংসের দোকানে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়নি সিউড়ি পুরসভা কর্তৃপক্ষ। পুরসভার তরফে গত মাসে ভাগাড় কাণ্ডের পর শহরের রেস্তরাঁ ও হোটেলগুলিতে অভিযান চালিয়ে পচা মাংস উদ্ধার হয়। তবে ভাগাড় কাণ্ড থিতিয়ে আসতেই সেই অভিযানে ইতি পড়ে। এদিকে পচা মাংস উদ্ধারের খবর পেয়ে পুরসভা কর্তৃপক্ষের সাফাই তাঁদের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। তাই এখনই অভিযান চালানোর কেনও পরিকল্পনা নেই। তবে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানে নামবে সিউড়ি থানার পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement