নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পুজোর মুখে বীরভূমের কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা কার্যত কাঁপন ধরিয়েছে এলাকায়। ত্রস্ত বাসিন্দারা। সোমবারের পর মঙ্গলবার সকালেও দুর্ঘটনাস্থল দেখে শিউরে ওঠার মতো অবস্থা। সেখানকার পরিস্থিতি দেখে বিস্মিত বীরভূমের পুলিশ সুপার নিজে। এখনও কেন এলাকা ঘেরা হয়নি? কেন সেখানে গ্রামবাসীরা যাতায়াত করছেন? এসব প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এলাকায় ব্যারিকেড করে দিলেন এসপি রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এদিন সকালেও খয়রাশোলের গঙ্গারামচক খনি এলাকায় ছড়িয়েছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ।
সোমবার দুপুরে গঙ্গারামচক কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। খনিটি রাজ্য সরকারের লিজ নেওয়া। সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সাহায্য ও চাকরি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটল? তা নিয়ে হাজার জল্পনার মাঝে মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রানা মুখোপাধ্যায়ের অনুমান, যে গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, অসাবধানতাবশত তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। আর সেই কারণে এত বড় দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ঘটল বলে মনে করছেন তিনি। তবে সবটাই প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ জানিয়েছে, ফরেনসিক রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এনিয়ে কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবারই ফরেনসিক দল দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে।
এদিকে, দুর্ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পরও সেই জায়গা খোলা ছিল, ঘিরে দেওয়া হয়নি। সেখানে অবাধে যাতায়াত করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে খয়রাশোলের গঙ্গারামচক খনিতে গিয়ে এই দৃশ্য কার্যত বিরক্ত হন জেলা পুলিশ সুপার। তিনি নিজেই এর পর উদ্যোগ নিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলেন। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয় বিস্ফোরণস্থল। ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া গাড়িও সংরক্ষণ করা হয়েছে নমুনা সংগ্রহের জন্য। তবে প্রশ্ন উঠছে, এতক্ষণ এলাকা খোলা থাকায় তদন্তের কোনও সমস্যা হবে না তো?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.