প্রতীকী ছবি।
দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ধর্ষণে বাধা পেয়ে শ্যালিকাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ উঠল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত জামাইবাবু জিয়ারুল মোল্লা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানার বাঘমারি এলাকায়। শনিবার জিয়ারুল মোল্লার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণী ভাই মিন্টু গাজিকে নিয়ে বাঘমারি এলাকায় দিদির বাড়িতে বেড়াতে আসেন গত মঙ্গলবার। সেই থেকে ওই বাড়িতেই ছিলেন দু’ভাইবোন। রাতে দিদি জামাইবাবু ঘরে ঘুমোতে গেলে তাঁরা উঠোনেই ঘুমানোর বন্দোবস্ত করে নিচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শনিবার ভোরবেলা জামাইবাবু জিয়ারুল মোল্লা শ্যালক মিন্টুকে ডেকে স্থানীয় এক পুকুরে মাছ ধরতে নিয়ে যায়। সেই সময় ওই তরুণী উঠোনেই ঘুমোচ্ছিলেন। এদিকে মিন্টুকে পুকুরের সামনে দাঁড় করিয়ে রেখে বাড়ি যাওয়ার নাম করে সেখান থেকে সরে পড়ে জিয়ারুল। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও জামাইবাবুর দেখা মেলেনি। বাধ্য হয়েই দিদির বাড়ির পথ ধরে মিন্টু। উঠোনে ঢুকতেই দেখে গলায় নলিকাটা অবস্থায় রক্তে ভাসছেন দিদি। এই দেখেই চিৎকার শুরু করে দেয় মিন্টু। পরিবারের অন্যরা ছুটে এলে তড়িঘড়ি আক্রান্ত তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই সন্দেহের তির যায় জামাইবাবুর দিকে। কেননা পুকুর পাড় থেকে চলে আসার পর তাকে আর কেউই দেখতে পায়নি। বাড়িতে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটলেও ওই ব্যক্তির দেখা মেলেনি। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
জীবনতলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকা ঘুরে দেখে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদও সেরে নেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘুমন্ত শ্যালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল জিয়ারুল। তবে ওই তরুণী সেই সুযোগ দেনি। বাধা পেয়েই প্রতিহিংসায় শ্যালিকার গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয় অভিযুক্ত। ধারালো অস্ত্রের খোঁজ মেলেনি। তবে ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন অভিযুক্তের স্ত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.