Advertisement
Advertisement

Breaking News

গাঁজা

হাসপাতালে গাঁজাচাষের খবর ছড়াতেই পদক্ষেপ, বনগাঁয় কাটা হল অবৈধ গাছ

হাসপাতালের ভূমিকায় দেরিতে হলেও খুশি স্থানীয়রা।

Cannabis cultivation at Bongaon hospital, authority take initiative against it
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 6, 2019 4:02 pm
  • Updated:June 6, 2019 5:50 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সংবাদ প্রতিদিনের খবরের জের। হাসপাতাল চত্বরে গাঁজা চাষের খবর সামনে আসতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করল কর্তৃপক্ষ৷ নষ্ট করে দেওয়া হল বনগাঁ হাসপাতালের গাঁজার বাগান। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে মধ্যে চলছিল গাঁজার চাষ। জমে উঠেছিল ব্যবসা। উদাসীনতার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল হাসপাতালের সুপারকে। খবর প্রকাশ্যে আসতেই বুধবার গাঁজার গাছ নষ্টের দাবি জানিয়ে হাসপাতালের সহকারী সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব।  

[আরও পড়ুন: ফের ক্ষমতায় মোদি-বাবুল, আনন্দে প্রতিবেশীদের পাত পেড়ে খাওয়ালেন বিজেপি কর্মী]

জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর ধরেই বনগাঁ হাসপাতালের এমার্জেন্সির সামনে রয়েছে সারি দেওয়া গাছ। সকলের চোখের সামনেই বেড়ে উঠেছে সেসব। কিন্তু চোখে পড়লেও অনেকেরই বোধগম্য হয়নি সেগুলি কী। অনেকে বুঝতে পেরেও ভয়ে মুখ খোলেননি। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রমরমিয়ে গাঁজার কারবার করে গিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। বুধবার সকালে প্রকাশ্যে আসে ঘটনাটি। জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিজেপি নেতা শোভন বৈদ্য, সৈকত মিত্র-সহ অন্যান্যরা। তাঁদের অভিযোগ, “হাসপাতালে সকলের চোখের সামনে দীর্ঘদিন ধরে এসব হয়েছে। সুপার সব কিছু জেনেও চুপ করেছিলেন।” প্রতিবাদে সরব হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গাঁজা গাছ নষ্ট করার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

BANGAON-HOSPI 2

[আরও পড়ুনদিলীপ ঘোষের ফ্লেক্সে পুজো! বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল কাউন্সিলরের বাবা]

বৃহস্পতিবার সকালে গাঁজা বাগান কাটার খবর পেয়ে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতা শোভন বৈদ্য। তিনি বলেন, “১২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে গাঁজা বাগান কেটে ফেলা হয়েছে, আমরা খুশি।” পাশাপাশি, হাসপাতালের অন্যান্য সমস্যাগুলিরও এভাবেই দ্রুত সমাধানের আরজি জানান তিনি। হাসপাতালের ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিজনেরাও৷ এ প্রসঙ্গে, হাসপাতালের সহকারী সুপার সপ্তর্ষি চৌধুরি বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে যে সব সাফাই কর্মী হাসপাতাল পরিষ্কারের কাজ করতেন, বেশ কিছুদিন ধরে তারা না আসায়  হাসপাতালে নতুন করে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। নজরে পড়তেই ব্যবস্থা নিয়েছি।” পরবর্তীকালেও যে কোনও সমস্যা হলে, তার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement