বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: টানা ছয়দিন ধরে চলেছে বিক্ষোভ ও ধরনা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত সরকারি চাকরির দাবিতে জেলা পরিষদের সামনে অনশনে বসলেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কর্মপ্রার্থীরা। অনশনে শামিল তৃণমূল কংগ্রেসের নিহত সমর্থকদের পরিবারের সদস্যরা। অনশন চলছে কৃষ্ণনগরে। আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত পঞ্চায়েত দপ্তরে চাকরির নিয়োগপত্র পাবেন, ততক্ষণ অনশন চালিয়ে যাবেন।’
নদিয়া জেলায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। নদিয়া জেলা তো বটেই, আশেপাশের জেলা, এমনকী মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কর্মপ্রার্থীরাও লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন। লিখিত পরীক্ষা পর যথারীতি মৌখিক পরীক্ষাও হয়। আন্দোলনকারীর দাবি, গত বছরের আগস্টে সফল কর্মপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। চাকরি পরীক্ষায় পাস করেছেন ১২১। আর ওয়েটিং লিস্ট নাম রয়েছে আরও সত্তর জনের। কিন্তু সফল কর্মপ্রার্থীদের তালিকা প্রকাশের পর বছর ঘুরতে চললেও, এখনও কেউ চাকরির নিয়োগপত্র পাননি বলে অভিযোগ। সফল কর্মপ্রার্থীদের দাবি, নিয়োগপত্রের জন্য জেলা পরিষদ-সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিস্তর হাঁটাহাঁটি করেছেন তাঁরা। কিন্তু নিয়োগপত্র পাননি।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার নিয়োগপত্রের দাবিতে কৃষ্ণনগরে নদিয়া জেলা পরিষদ ভবনের সামনে ধরনায় বসেন বেশ কয়েকজন কর্মপ্রার্থী। ধরনা চলে ছয়দিন। কিন্তু প্রশাসনের টনক নড়েনি। শেষপর্যন্ত সোমবার থেকে অনশন শুরু করেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সল্টলেকে অনশনে বসেছিলেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা। তাঁদের বেতন বাড়িয়েও দিয়েছে সরকার।
কিন্তু পরীক্ষায় পাস করেও কেন নিয়োগপত্র পাচ্ছেন না কর্মপ্রার্থীরা? নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডুর আগে জানিয়েছিলেন, ‘পঞ্চায়েত দপ্তরে নিয়োগ বিষয়টি অর্থ দপ্তর এখনও অনুমোদন করেনি। অনুমোদন মিললেই নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। কর্মপ্রার্থী অনশনে বসার পর যখন ফের যোগাযোগ করা হয়, তখন সভাধিপতি বলেন, “আমি এখন কলকাতায়। ফিরে গিয়ে যা বলার বলব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.