নিজস্ব সংবাদদাতা, কাটোয়া: সংসারে খাওয়া পরার ঠিকমতো সংস্থান নেই৷ তার ওপর ধরা পড়েছে মারণ রোগ ক্যানসার৷ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিন ওষুধের জন্য মোটা টাকা খরচ হচ্ছে৷ বাবার চিকিৎসার জন্য উদয়াস্ত্র পরিশ্রম করে চলেছেন মেয়ে৷ রোগ যন্ত্রণার পাশাপাশি পরিবারের এই চাপ কমাতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করতে চলেছেন কাটোয়ার আকাই হাটের নাণ্টুগোপাল চট্টোপাধ্যায়(৫৫)৷ ক্যানসার আক্রান্ত প্রৌঢ় বলেন “জানি আত্মহত্যা মহাপাপ৷ কিন্তু এছাড়া আর উপায় নেই৷ একদিকে আমি রোগ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাব৷ অন্যদিকে আমার মেয়েটাও বাঁচবে৷ ওর কষ্ট আর দেখতে পারছি না৷”
ছোট একটা দোকান ছিল নাণ্টুগোপালবাবুর৷ তবে ব্যবসার পাশাপাশি জনমজুরের কাজও করতেন৷ বাড়িতে আছেন স্ত্রী সন্ধ্যা চট্টোপাধ্যায়৷ দুই মেয়ে পিয়ালি ও সোনালি৷ বড় পিয়ালির বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷
সন্ধ্যাদেবী জানান, বছর দেড়েক আগে তাঁর স্বামীর ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে৷ তবে তখন থেকে চিকিৎসা করালেও উন্নতি কিছু হয়নি৷ বরং ৪ মাস ধরে শয্যাশায়ী হয়ে গিয়েছেন৷ সন্ধ্যাদেবী বলেন “প্রতিদিন ৩০০-৩৫০ টাকার ওষুধ লাগে৷ মেয়ে সোনালি টিউশন পড়ায়৷ দিনরাত খাটে বাবার জন্য৷ মেয়ের টাকাতেই ওষুধ কিনতে হয়৷”
সোনালি জানান, তার কাকা দুলাল চট্টোপাধ্যায়ও সংসার চালাতে কিছু সাহায্য করেন৷ তবে বাবার চিকিৎসার জন্য বহু টাকা ধারও হয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে নাণ্টুগোপালবাবু স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করতে চলেছেন৷ নাণ্টুগোপাল জানান, এ সপ্তাহেই তাঁর আবেদন জমা পড়বে কাটোয়া মহকুমা প্রশাসনের কাছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.