ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা ধরে ঘেরাও বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) উপাচার্য। নিজের বাসভবনেই ঘেরাও হয়ে রয়েছেন তিনি। তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকে ঘেরাও উপাচার্য। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বদল করা না হলে আন্দোলন চলবে বলেই দাবি পড়ুয়াদের। এদিকে, রবিবার বিশ্বভারতী চত্বরে মিছিল করতে চলেছে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের একাংশ।
বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন।
তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একপ্রস্থ তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। পরে উপাচার্যের বাসভবন ‘পূর্বিতা’ ঘেরাও করে তারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘তালিবান উপাচার্য দূর হটো’। শুক্র এবং শনিবার রাতভর ঘেরাও উপাচার্য। রবিবার সকালেও জারি আন্দোলন। উপাচার্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বদল না করলে আন্দোলন জারি থাকবে বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। এদিন দুপুরে বিশ্বভারতী চত্বরে মিছিল করার কথা পড়ুয়াদের।
এদিকে, অশান্তির আশঙ্কায় আঁটসাঁট নিরাপত্তায় মুড়েছে উপাচার্যের বাসভবন। ‘পূর্বিতা’র আশেপাশে লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। আগে ৯টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল। শনিবার আরও ৯টি লাগানো হয়েছে। বিশ্বভারতীতে ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই বিশ্বভারতীতে অশান্তি চলছে। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে এ বিষয়ে মুখ খোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিশ্বভারতীর বোর্ড সদস্যরা বিজেপির লোক বলেই দাবি করেন তিনি। কেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় এ বিষয়ে নিশ্চুপ, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.