ছবি: প্রতীকী।
শান্তনু কর ও রাহুল রায়: নিয়ম ভেঙে বদলি মামলায় নয়া মোড়। সিঙ্গলবেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। ৪ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০১৬ সালে শিলিগুড়ি শ্রীগুরু বিদ্যালয়ের সহ-শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেন শান্তা মণ্ডল। ২০১৯ সালে তিনি প্রধান শিক্ষিকার পদের জন্য পরীক্ষা দেন। তিনি বীরপাড়া গার্লস স্কুলে যোগ দেওয়ার জন্য সুপারিশপত্র পান। এর এক বছরের মধ্যে তিনি শিলিগুড়ি অমিয়পাল চৌধুরী স্কুলে যোগ দেওয়ার সুপারিশ পান। তবে তিনি সেখানে যোগ দেননি। এরপর যেখানে আগে সহ-শিক্ষিকা হিসেবে ছিলেন অর্থাৎ শ্রীগুরু বিদ্যামন্দিরে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁকে নিয়োগও করে।
এরপরই ওই স্কুলের শিক্ষক প্রসূনসুন্দর তরফদার কলকাতা হাই কোর্টের প্রিন্সিপাল বেঞ্চে অভিযোগ করেন। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে চাকরির মেয়াদ ৫ বছর হওয়ার আগেই এতবার বদলি? কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি। সেখানেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি শান্তা মণ্ডলকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বীরপাড়া গার্লস স্কুলে যোগ দেওয়ার জন্য।
কিন্তু তারপরও স্কুলে যোগ দেননি ওই শিক্ষিকা। উলটে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান শান্তা মণ্ডল। এদিকে গতকালই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর করে সিবিআই। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে সিঙ্গলবেঞ্চের রায়ের উপর চার সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শান্তা মণ্ডলের আইনজীবী বলেন, “শান্তা মণ্ডলের তরফে ও রাজ্যের হয়ে মোট দুটি আপিল করা হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে। সামান্য বদলি মামলায় কেন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। গোটা বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে সিঙ্গলবেঞ্চের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.