সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে ফের টেট নিয়ে জটিলতার আশঙ্কা। ২০১৪ সালে পরীক্ষার ১১টি প্রশ্ন বিতর্কিত। মেনে নিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুখবন্ধ খামে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
[ কোচবিহারে ছাত্র খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার তৃণমূল নেতা মুন্না খান]
এ রাজ্যে টেটের মাধ্যমে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। কিন্তু, এই পরীক্ষা নিয়ে জটিলতার শেষ নেই। কর্মপ্রার্থীদের একের পর এক মামলায় বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে সরকার। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ফের টেট নিয়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরীক্ষার ১১টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর কী হবে? তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গড়ে দিতে হবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুখবন্ধ খামের রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫-তে। পরীক্ষায় বসেছিলেন কয়েক লক্ষ কর্মপ্রার্থী। সেই পরীক্ষার মেধাতালিকাও ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে শিক্ষা দপ্তর। কিন্তু, টেটের ১১টি প্রশ্নকে ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাকারীর অভিযোগ, সবকটি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর লিখেছেন তিনি। কিন্তু, তাঁর উত্তর নাকচ করে দিয়েছেন পরীক্ষক। শুক্রবার মামলার শুনানিতে ওই টেট পরীক্ষার্থীর বক্তব্যকে কার্যত মান্যতা দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের বক্তব্য, ওই ১১ টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর কী হবে? তা খতিয়ে দেখা দরকার।বিশ্বভারতীর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য একটি কমিটি গঠন করবেন। ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। এখন কমিটির রিপোর্টে যদি দেখা যায়, মামলাকারীর উত্তরই সঠিক, সেক্ষেত্রে টেট নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হবে বলে আশঙ্কা শিক্ষামহলের। কারণ ২০১৪ সালের টেটের মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়ে গিয়েছে। তখন মেধাতালিকা বদলে ফেলতে হবে।
[প্রবল বৃষ্টিতে কুলটিতে রেললাইনে ধস, অল্পের জন্য রক্ষা রাজধানী এক্সপ্রেসের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.