রাহুল রায়: পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানা এলাকার গণধর্ষণের (Anandapur Gangrape) ঘটনায় জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্ট। মামলায় এসপির বিরুদ্ধে সরাসরি নির্দেশ না দিলেও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। একই সঙ্গে, ঘটনায় পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা-ও জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।
আদালতের (Calcutta High Court) পর্যবেক্ষণ, এটা খুব গুরুতর অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজির কড়া পদক্ষেপে আশা রাখছে আদালত। শীর্ষ কর্তাদের জানাতে হবে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় দায়ী কারা, তা চিহ্নিত করতে হবে। মঙ্গলবার ফের মামলার শুনানি।
অভিযোগ গুরুতর। মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার নামে এক মহিলাকে গণধর্ষণের মতো অভিযোগ। তার থেকেও গুরুতর এই নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর এফআইআর নেয়নি পুলিশ। ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাই কোর্ট। পাশাপাশি, থানার সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। এদিন পুলিশ রিপোর্টে জানায়, যেদিন ওই মহিলা এসেছিল, সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, “আদালত নিশ্চিত, ওই দিনগুলির ফুটেজ হয় মুছে ফেলা হয়েছে বা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।”
মামলাকারীর আইনজীবী সৌম্য দাস মহাপাত্র জানান, “গত ১১ আগস্ট পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর এলাকার বাসিন্দা এক মহিলাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই মহিলার বসতবাড়ি সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে এই ঘটনা ঘটিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু নির্যাতনের কথা জানানোর জন্য আনন্দপুর এবং কেশপুর থানায় গিয়েছিলেন নির্যাতিতা, কিন্তু পুলিশ অভিযোগ না নিয়েই তাঁকে ফিরিয়ে দেয় বলে মামলায় দাবি করেন ওই মহিলা।” এদিন এসপি যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় আদালতে জেলা পুলিশকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.