দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি লকডাউন। আপাতত বাড়িতেই কাটছে বেশিরভাগ মানুষের দিন। বন্ধ কল-কারখানা। তাই যাঁরা দৈনিক হিসাবে বেতন পান, তাঁদের কমেছে উপার্জনও। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির কাছে কেবল কানেকশন বজায় রাখা বিলাসিতা ছাড়া যেন আর কিছুই নয়। কিন্তু বাইরে বেরোচ্ছেন না। মাঝেমধ্যেই আতঙ্কে সংবাদপত্রও বাড়িতে ঢোকাচ্ছেন না বহু গৃহস্থ। এমতাবস্থায় গোটা দেশ, বিদেশের পরিস্থিতি জানতে পারার একমাত্র মাধ্যম টিভি। তাও শুধুমাত্র টাকার অভাবে যদি বন্ধ থাকে তাহলে বর্তমানে গোটা বিশ্বে কী ঘটছে, তা জানতে পারবেন না আমজনতা। তাই তাঁদের কথা ভেবে নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করা বলা হয়েছে, কোনও গ্রাহক এক মাস টাকা জমা দিতে না পারলেও, কাটা যাবে না তাঁর কেবল কানেকশন।
গত মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্য সরকার। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী গোটা দেশজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে কোনও গ্রাহক আগামী এক মাস টাকা দিতে না পারলেও, কেবল টিভির সাবস্ক্রিপশন কাটা যাবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে উপার্জন বন্ধ অনেকেরই। তাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই যে নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলি উপকৃত হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। একেবারে ময়দানে নেমে মারণ ভাইরাস সংক্রমণ রোধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গরিব মানুষদের সুবিধায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চাল, ডাল, তেল-সহ নানা খাদ্যদ্রব্য বিলির কাজও চলছে। কোনও গরিব মানুষই যাতে খাবারের অভাবে না ভোগেন, সে কারণে বারবারই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও নিজে তিনি বাজার, হাসপাতাল পরিদর্শনেও বেরোচ্ছেন। হাতে-কলমে শেখাচ্ছেন সামাজিক দূরত্ব স্থাপনের কৌশল। বিপদের সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করছেন রাজ্যবাসী। তবে বিজেপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ভোটবাক্সের কথা ভেবে লকডাউনের সময় রাস্তায় বেরিয়ে বিপদ বাড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.