সংগ্রাম সিংহরায় ও শুভদীপ রায় নন্দী: ঝটিকা সফরে উত্তরবঙ্গে এসেই যেন ঝটকা দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)! আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। সেই মহারণে নামার আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকেই যে বিজেপি অন্যতম হাতিয়ার করতে চলেছে তা পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন তিনি। পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত সাংসদকে বাংলার কী কী সমস্যা রয়েছে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলেন। মোদি সরকার বঙ্গবাসীর চাহিদা ও অভাব দূর করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিলেন।
সোমবার সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দর নামার পরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি প্রথমেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। সেখান থেকে সোজা চলে যান আনন্দময়ী কালীবাড়িতে পুজো দিতে। কিছুক্ষণ সেখানে কাটানোর পর সেবক রোডের একটি হোটেলে এসে দুপুর দেড়টা থেকে সাংগঠনিক বৈঠক সারেন। তারপর দেখা করেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে।
দলীয় সাংসদ ও উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকের সময় আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে যে দিল্লির নেতারা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন সেকথা স্পষ্ট করে দেন সর্বভারতীয় সভাপতি। আর এই নির্বাচনে জয়ের জন্য করোনার প্রভাব কমলেই সিএএ (CAA) কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তো আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু সেটা কার্যকর করলেই হল। এর জন্য আইনের বিধিও তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু, করোনার কারণে সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই মহামারীর প্রভাব কমলেই বিধি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আরও আপনারাও খুব তাড়াতাড়ি এর সুবিধা পাবেন।’
এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে জেপি নাড্ডা বলেন, ‘আমরা সবার ভাল চাই। সবাইকে নিয়ে চলার ক্ষমতা একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজিরই আছে। কিন্তু, মমতাদির সরকার বিভাজনের রাজনীতি করে বাংলাকে ভাগ করতে চাইছে। দেশজুড়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিলেও সেগুলি এই রাজ্যে চালু করতে দেওয়া হয়নি। রাজনীতির স্বার্থে গরিব কল্যাণে বাধা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের জেদের ফলে কৃষকনিধি সম্মান, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাননি এখানকার মানুষ। আমি আপনাদের বলছি বাংলায় যা হয়নি তার তালিকা দিন। মোদি সরকার সব পূরণ করবে। আমরা এই রাজ্যের ক্ষমতা এলে একমাসের মধ্যে চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত। ‘
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.