শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: CAA বিরোধী আন্দোলনে তোলপাড় গোটা রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল কারও বার্তাতেই শান্ত হচ্ছে না পরিস্থিতি। এমতাবস্থায় আন্দোলনকারীদের হঠাতে লাঠি হাতে রাস্তায় নামলেন কংগ্রেস বিধায়ক মণিরুল হক। শাস্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদের ডাক দিলেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে তবে ফিরলেন গন্তব্যে।
শুক্রবার থেকেই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে মানুষ। ওইদিনই মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ট্রেনে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ কর্মীরাও। এরপরের দিনও ক্ষোভের আগুনে জ্বলে মুর্শিদাবাদ। শনিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন প্রান্তে ভাঙচুর চালায় নাগরিকত্ব আইন বিরোধীরা। সুতিতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৩ টি বাসে। বিকেলে কৃষ্ণপুরে ৪ টি ট্রেনে একসঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। রবিবারও ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। স্টেশনে -স্টেশনে চলে ভাঙচুর অবরোধ। বিকেলের দিকে তিলডাঙা স্টেশনে ট্রেন আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় স্টেশনে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন কংগ্রেস বিধায়ক মণিরুল হক।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের সামনে দাঁড়ান তিনি। হিংসাত্মক এই আচরণের প্রতিবাদ করেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “প্রতিবাদ করতে হলে তা সুস্থভাবে করতে হবে।” এভাবে কোনও আন্দোলন তাঁর এলাকায় মানা হবে না বলে সাফ জানিয়েদেন তিনি। তিনি ময়দানে নামতেই ধীরে ধীরে পিছু হঠতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। জমায়েত থাকলেও অনেকটাই আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। প্রায় আধ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে ফেরেন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.