সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: CAA বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল গোটা রাজ্য। বিভিন্ন স্টেশনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা লেগেই রয়েছে। শুক্র, শনির পরে রবিবারও রাজ্যের পরিস্থিতি প্রায় একইরকম। বাধ্য হয়ে ৪টি জেলায় পুরোপুরি এবং ২ জেলায় আংশিক ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
সন্ধে ৯.৩০: রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কালীঘাটের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ রাজ্য পুলিশের ডিজিও।
সন্ধে ৬.৪৮: বর্ধমানের পলেমপুরে বিজেপি কার্যালয়ে আগুন। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
সন্ধে ৬.৩০: করণদিঘিতে বাসে ইট বিক্ষোভকারীদের।
সন্ধে ৬.১০: বারাসতের সরোজ পার্কে বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে টাকি রোড অবরোধ গেরুয়া শিবিরের।
সন্ধে ৫.৫৪: কোচবিহারের একাধিক জায়গায় তাণ্ডব চালায় CAA বিরোধীরা।
বিকেল ৫.০০: প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চালানো হয় মুর্শিদাবাদের রেজিনগর স্টেশনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বাধা দিতে গেলে পুলিশের গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানো গ্যাসের শেল।
বিকেল ৪.৪০: বীরভূমের লোহাপুর স্টেশনে হামলা বিক্ষোভকারীদের। স্টেশনজুড়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এবং আরপিএফ থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বিকেল ৪.১০: ফরাক্কার তিলডাঙা স্টেশনে ফের ব্যাপক ভাঙচুর চালায় CAA বিরোধীরা। খবর পেয়ে বিধায়ক মণিরুল হক তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে কথাবার্তায় কোনও লাভ না হওয়ায় বাধ্য হয়ে লাঠি হাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘এটা প্রতিবাদের পন্থা নয়।’ পুলিশ এবং বিধায়কের তৎপরতায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
বিকেল ৪.০০: মুর্শিদাবাদের মণিগ্রাম স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর। বাধা দিতে গেলে আরপিএফের গাড়িতে আগুন।
দুপুর ৩.৩০: CAA বিরোধী বিক্ষোভে ফের উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। এবার ঘটনাস্থল রেজিনগর। পথ অবরোধ এবং বাস ভাঙচুরের পর স্টেশনেও বিক্ষোভ দেখায় বিরোধীরা। রেজিনগর স্টেশনেও ব্যাপক তাণ্ডব চলে। বাধা দিতে গেলে রেলপুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়।
দুপুর ২.৩০: CAA বিক্ষোভকারীরা মালদহের বৈষ্ণবনগরে টোলপ্লাজায় ভাঙচুরের চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিতে গেলে পালটা পুলিশের উপর হামলার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পাশাপাশি ভালুকা স্টেশনেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় স্টেশনে। ভয় পেয়ে স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যান রেলকর্মীরা। অশান্তির জেরে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
দুপুর ২.০০: অশান্তির ছবি এবং ভিডিও যাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে গন্ডগোল আরও বাড়তে পারে। তাই হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহে পুরোপুরি ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুই ২৪ পরগনাতেও আংশিক বন্ধ রাখা হবে ইন্টারনেট পরিষেবা।
বেলা ১টা: অশোকনগরের নৈহাটি রোডে বিক্ষোভ CAA বিরোধীদের।
বেলা ১২.৪০: গাছের গুঁড়ি ফেলে আগুন জ্বালিয়ে আমডাঙার সোনাডাঙা, ধানকল মোড়ে পথ অবরোধ।
বেলা ১২.২০: রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি এবং মোড়গ্রামে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ।
বেলা ১২টা: যশোর রোডে দফায় দফায় বিক্ষোভ CAA বিরোধীদের।
বেলা ১১.৫৬: শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার বজবজের আকড়া স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। চালানো হয় ব্যাপক ভাঙচুর। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। আকড়া স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালায় বলেও দাবি কর্তৃপক্ষের। স্টেশন মাস্টারের ঘরেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
সকাল ১১.৪৯: বাঁকুড়ার জয়পুরে বিজেপির মণ্ডল কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানো হয় একটি বেসরকারি গাড়িও। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়েও দেখানো হয় বিক্ষোভ। অশান্তির পর থেকে জয়পুরের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ব্যাহত যান চলাচলও।
সকাল ১১.৩৫: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে ডায়মন্ড হারবারের হটুগঞ্জ ডাক্তারখানা মোড়ের ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ। যার জেরে অবরূদ্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়ক। ব্যাহত যান চলাচল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.