সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন CAA’র বিরোধিতায় শনিবার সকাল থেকে অগ্নিগর্ভ কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ বিভিন্ন এলাকায়। একের পর এক জ্বলছে গাড়ি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। এদিনের ঘটনার ফের সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই আরজি রাজ্যের শিল্পীমহলেরও।
সন্ধে ৭.০০: নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বাতিলের দাবিতে সন্ধেবেলা মহেশতলার বাটানগর মোড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কুশপুতুল দাহ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের।
সন্ধে ৬.০০: লালগোলা থানার পণ্ডিতপুরে টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। এরপর লালগোলা বাজারে বিক্ষোভ দেখায় তারা। পোড়ানো হয় পিডব্লুডি অফিসও। লালগোলা স্টেশনেও লাগিয়ে দেওয়া আগুন। কৃষ্ণপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
বিকেল ৪.১৫: এখনও জঙ্গিপুরে আটকে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। সকাল থেকেই লালগোলা থেকে পলাশী পর্যন্ত বন্ধ ট্রেন চলাচল।
বিকেল ৪.০০: মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে তৃণমূল নেতার বাড়ি ও গাড়িতে তাণ্ডব বিক্ষোভকারীদের। মিছিল করে ফেরার পথে আচমকাই ওই নেতার বাড়িতে হামলা করে আন্দোলনকারীরা। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় গাড়িতে।
দুপুর ৩. ৩০: CAA’র বিরোধিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের সরিষা ২৪৬ বাস মোড়ে শুরু অবরোধ। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় রাস্তায় আটকে চলছে বিক্ষোভ। আতঙ্কে ঘরবন্দি এলাকার বাসিন্দারা।
দুপুর ৩.১০: করিমপুর ২ ব্লকের ফাজিলনগর হাই স্কুলের মাঠে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে জমায়েত। বিরোধিতায় চলল মিছিল। তেহট্টে কৃষ্ণনগর – করিমপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ।পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠল অবরোধ।
দুপুর ৩.০০: সাঁকরাইল স্টেশনে সিগন্যাল প্যানেল তছনছের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় রেল চলাচল কার্যত বন্ধ। বাতিল ৪০ টি লোকাল ট্রেন-সহ একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হলেই চলবে ট্রেন, জানালেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের সিপিআরও সঞ্জয় ঘোষ।
দুপুর ২. ০০: অগ্নিগর্ভ কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। ১৫টি সরকারি ও বেসরকারি বাসে আগুন বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। স্তব্ধ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের যান চলাচল।
দুপুর ১.৩০: শনিবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বাস, স্টেশন ও ট্রেনের যন্ত্রাংশে। দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আক্রমণ করা হয় দমকল কর্মীদেরও।
দুপুর ১২. ৫০: সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাস জ্বালিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁর লক্ষ্য ইটবৃষ্টি বিক্ষোভকারীদের। মুর্শিদাবাদের সুতিতেও জ্বালিয়ে দেওয়া হল ৩ টি বাস।
বেলা ১২.৩০: সাঁকরাইল স্টেশনের রেল কেবিন ও টিকিট কাউন্টারে ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। সিগন্যালিং কেবিন তছনছ করে অভিযুক্তরা। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে স্টেশন চত্বর। প্রাণ বাঁচাতে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন যাত্রীরা।
বেলা ১২.০০: সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে চলছে বিক্ষোভ। ব্যাহত যান চলাচল। বিক্ষোভের জেরে হাওড়া থেকে বাতিল হাওড়া-এর্নাকুলাম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া পুণে দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া তিরুপতি এক্সপ্রেস, হাওড়া মুম্বই গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস, হাওড়া-দিঘা কাণ্ডারী এক্সপ্রেস।
সকাল ১০.৩০: সকালে প্রথমে গরফার কাছে কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাস্তার মাঝে একের পর এক জ্বালানো হয় টায়ার। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিক্ষোভের আগুন। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তার উপর দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে আগুন।
সকাল ৮: ০০: সকাল থেকেই বসিরহাটের হাড়োয়া, মুর্শিদাবাদের পোড়াডাঙা, জিয়াগঞ্জ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসুলডাঙা-সহ একাধিক স্টেশনে শুরু বিক্ষোভ। সাতসকালে স্টেশনে আটকে একাধিক ট্রেন। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা।
ছবি: পিন্টু প্রধান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.