অর্ক দে, বর্ধমান: জলের ট্যাঙ্ক বিপর্যয়ে আহতদের দেখতে হাসপাতালে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ঘুরে দেখলেন বর্ধমান স্টেশনও। জানালেন রেলের তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে আর্থিক সাহায্যের। পাশাপাশি মৃত এক মহিলার মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন তিনি।
বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে ছিল ৫৩ হাজার গ্যালনের জলের ট্যাঙ্ক। অন্যান্যদিনের মতোই বুধবার সকালে বর্ধমান স্টেশন ছিল যাত্রীতে ভরা। শেডের তলায় ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বহু যাত্রী। ওই শেডের ঠিক উপরেই ছিল জলের ট্যাঙ্কটি। আচমকাই ঘটে দুর্ঘটনা। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিরাট ট্যাঙ্ক। শেডের নিচে থাকা যাত্রী ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান। জখম হন ২৭ জন। মৃত্যু হয় তিনজনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। তড়িঘড়ি পুলিশ, রেলের আধিকারিকরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। দীর্ঘক্ষণ ৩ টি প্ল্যাটফর্মে বন্ধ ছিল ট্রেন পরিষেবা।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় বোলপুর থেকে ফেরার পথে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে যান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। চিকিৎসকদের থেকে খোঁজ নেন আহতদের শারীরিক পরিস্থিতির। এর পর বর্ধমান স্টেশনে যান তিনি। দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। এদিন সি ভি আনন্দ বোস জানান, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভালো চিকিৎসা হচ্ছে। রেলের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনায় মৃত এক মহিলার মেয়ের একবছরের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রতিমাসে ৬ বছরের মেহতাজ শেখকে পাঁচ হাজার টাকা করে দেবেন বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.