নন্দন দত্ত, সিউড়ি: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাথর ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করল তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজার থানার সেরেন্ডা গ্রামে। তাপস দাস (৩৩) নামে ওই ব্যবসায়ীকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ীর পেটে একটি ও ঘাড়ে দু’টি গুলির চিহ্ন আছে। মৃত ব্যবসায়ীর ভাই রাজু দাস দাবি করেন, “দাদার কোনও শত্রু ছিল না। কেন খুন করা হল বুঝতে পারছি না। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নেই।” জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জমি সংক্রান্ত একটি বিবাদ থেকে এই ঘটনা ঘটতে পারে। পুলিশ তার তদন্তে নেমেছে।”
মহম্মদবাজারের কেন্দ্রসরাল গ্রামের বাসিন্দা তাপস দাস। গ্রামেই তাঁর হার্ডওয়্যারের ব্যবসা ছিল। পরিশ্রম করে গত কয়েক বছরে পাথর খাদান, জীবন বিমার এজেন্ট হিসাবে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ প্রতিদিনের মতন দোকান থেকে নিজের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিল। সেরেন্ডা গ্রামের কাছে আকটি বটতলার পাশে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর বাড়িতে খবর দেয় এক গ্রামবাসী।
ভাই রাজু দাস জানান, “দাদা দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে শুনেই আমরা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। দশন্দরিয়া ও সেরেন্ডার মাঝামাঝি একটি ফাঁকা রাস্তার মাঝে বটতলার পাশে পরেছিল দাদা। অচৈতন্য অবস্থায় তাকে দেখে হাসপাতালে ভরতি করি। দাদা কোনও কথা বলতে পারেনি। ভরতির পরে দাদা মারা যায়। হাসপাতালে এসে আমরা বুঝতে পারি দাদাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।” কিন্তু কারা তাপসকে খুন করতে পারে তাঁর কোনও অনুমানই পরিবারের নেই বলে তাঁরা জানান।
তিন ভাইয়ের বড় ভাই তাপসকে কারা কী করে খুন করল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকায় কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। ঘটনার সময় কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল না। পরিকল্পিতভাবে রেইকি করে তাঁকে খুন করা হল কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের কিছু দূরেই পাশের ঝাড়খন্ড রাজ্য। সহজেই সেখান দিয়ে কাজ সেরে বেরিয়ে যেতে পারে দুষ্কৃতীরা। কারণ, তাঁর ভাই রাজু দাস জানিয়েছেন, দাদার দোকান বন্ধের পরে চল্লিশ মিনিট পরে দুর্ঘটনার খবর পান তারা যান। পুলিশের একাংশ মনে করছে ততক্ষনে নিশ্চিন্তে গা ঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতী। পুলিশ সুপার বলেন, “সবদিক খতিয়ে দেখছি আমরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.