নব্যেন্দু হাজরা: সোমবার থেকে রাজ্যের গ্রিন জোনে থাকা জেলাগুলোতে বেসরকারি বাস পরিষেবা চালুর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই বাসে যাত্রীভাড়া কত হবে তা নিয়ে চিন্তায় বাসমালিকরা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রতি বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না। সে বিষয়ে সহমত হলেও মালিকদের দাবি, একটা ৫০ আসনের বাসে কম করে ৬৫ জন যাত্রী ওঠেন। ফলে তার থেকে যে ভাড়া আয় হয়, তাতো আর ২০ জনের যাত্রীভাড়ার সমান নয়। ফলে লোকসানের বহর বাড়বে। এক্ষেত্রে ভাড়া যদি না বাড়ে বাস নামানো সম্ভব হবে না।
তাঁদের কথায়, লোকসান করে কেউ গাড়ি নামাবেন না। কারণ, লকডাউনের কারণে এতদিন সব বন্ধ। বাসও বন্ধ ছিল। ফলে ড্রাইভার, কন্ডাক্টরদের কোনও আয় ছিল না।। মালিকদেরও এক অবস্থা। তাই ক্ষতির বহর বাড়িয়ে মালিকরা আর বাস নামাতে পারবেন না। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভুম, পূর্ব বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গের যে সমস্ত জেলা গ্রিন জোনে আছে সেখানেই এই পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এক জেলা থেকে বাস অন্য জেলায় যেতে পারবে না। জেলার মধ্যেই যাত্রী তুলতে হবে। বর্তমানে জেলার বাসেও সর্বনিম্ন ভাড়া হল সাত টাকা। যাওয়া যাবে চার কিলোমিটার। তারপর প্রতি স্টেজে ভাড়া বাড়ে। কিন্তু বাসমালিকদের দাবি, এই ভাড়ায় কুড়িজন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো অসম্ভব। সেক্ষেত্রে সরকার যেমন অধিগ্রহণ করে করে ভোটের সময় বাস নেয়, সেইরকম অধিগ্রহণ করে বাস নিয়ে চালাক। তাতে তাদের আপত্তি নেই।।
পরিবহণ দফতরের তরফে অবশ্য এখনও বিষয়টি নিয়ে সঠিক কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। তবে শীঘ্রই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। বাস মিনিবাস সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আগের ভাড়াতেই কুড়িজন যাত্রী নিয়ে বাস চালানো মুশকিল। কোনও আয়ই হবে না। পরিষেবা দেওয়াও সম্ভব হবে না। তাই সরকার হয় ভাড়া বৃদ্ধি করুক। না হলে বাস অধিগ্রহণ করে নিক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.