Advertisement
Advertisement
দুর্ঘটনা

দুর্ঘটনায় ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার, পরপর ৩টি সরকারি বাসে আগুন স্থানীয়দের

৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাহত যানচলাচল।

Bus hits child in Jalpuri, common people torched vehicle
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 4, 2020 10:41 am
  • Updated:January 4, 2020 10:49 am  

শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র জলপাইগুড়ির মোহিতনগর। শনিবার সকালে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাসের ধাক্কায় এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়। তাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। পরপর তিনটি সরকারি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর থেকে এখনও জাতীয় সড়কে বন্ধ যানচলাচল। মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।

শনিবার সকালে স্থানীয় দুই স্কুল পড়ুয়া টিউশন পড়তে যাচ্ছিল। তাঁরা সম্পর্কে ভাই-বোন। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে হেঁটে পড়তে যাচ্ছিল তারা। সেই সময় কোচবিহারগামী একটি সরকারি বাস তাদের পিছন দিক থেকে ধাক্কা মারে। বহুদূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে ছাত্রী। তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায় বাসটি। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রীর। ওই পড়ুয়ার ভাইও বাসের ধাক্কায় জখম হয়েছে। এলাকাবাসীরাই তাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় এক হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে তার। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুলিশের জালে নৈহাটির বাজি কারখানার মালিক, পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি রাজ্যপালের]

এই ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয়রা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। তিনটি সরকারি বাসে আগুনও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ফোর লেন তৈরির কাজ হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তার জেরে যানচলাচলে যথেষ্ট সমস্যা হচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে। কখনও পথদুর্ঘটনা কাড়ছে প্রাণ তো আবার কখনও জখম হচ্ছেন অনেকেই। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেয় পুলিশ। দমকল কর্মীদের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যাতে আর নতুন করে কোনও অশান্তি না হয় তাই ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা।

পথদুর্ঘটনা কমাতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচি নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে বেশ খানিকটা। কিন্তু উত্তরের জেলাগুলিতে কেন দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না, তা নিয়েই চিন্তায় প্রশাসন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement