Advertisement
Advertisement
পরিযায়ী শ্রমিক

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে গিয়েছিলেন কেরলে, মাঝপথেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বাসচালকের

শোকের ছায়া নেমেছে ওই যুবকের পাড়ায়।

Bus Driver, who went to return Migrants dies at Road
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 9, 2020 7:34 pm
  • Updated:June 9, 2020 7:34 pm  

মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: বাস চালিয়ে গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের আনতে। পরিযায়ীরা ফিরলেন, কিন্তু দেহ ফিরল সেই চালকের। অসুস্থ হয়ে পথেই মারা গেলেন তিনি। শ্যামপুরের এক বাসচালক মহাদেব জানা (২৮) তৃতীয় বারের জন্য কেরল গিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকদের আনতে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরলেও মৃতদেহ ফিরল বাসচালক মহাদেবের। বাস চালানোর সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সহকারী চালক তাকে বিশ্রামে পাঠিয়ে নিজে বাস চালান। পরে পথিমধ্যেই মৃত্যু হয় ওই অসুস্থ বাস চালকের। তিনি শ্যামপুরের রাধাপুর এলাকার বাসিন্দা।

জানা গিয়েছে, মহাদেবের পরিবারে রয়েছেন তাঁর মা, গর্ভবতী স্ত্রী দেবশ্রী জানা ও বছর ছয়েকের শিশুপুত্র অমল জানা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে শ্যামপুরের রাধাপুর এলাকায়। শ্যামপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি প্রশান্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসন মহাদেবের পরিবারের পাশে রয়েছে। এদিকে, আবার করোনা আতঙ্কও ছড়িয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে। তবে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, মৃত চালকের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে মহাদেবের করোনা নেই। তবে খালাসি-সহ সকল যাত্রীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হবে। তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছেলে তাড়িয়ে দেওয়ায় দিন কাটছিল মহিষাদল রাজবাড়ির দালানে, প্রশাসনের সহায়তায় ঘরে ফিরলেন বৃদ্ধ]

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামপুরের ৩৪ জন শ্রমিক কেরলে আটকে ছিলেন লকডাউনের কারণে। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে বাসটি নিয়ে গিয়েছিলেন চালক। গত ৩ জুন শ্যামপুরের দেউলি এলাকা থেকে একটি বাস কেরলের উদ্দেশে রওনা দেয়। মৃত চালক ছাড়াও একজন সহকারী চালক ও একজন খালাসি তাঁর সঙ্গে যান। গত ৬ জুন সকালে শ্রমিকদের নিয়ে বাসটি পশ্চিমবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেয়। এদিকে ৬ জুন শনিবার বিকেলে তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। ফলে তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে আর বাস চালাতে দেননি। তাঁকে বাসের পিছনের সিটে বসে বিশ্রাম নিতে বলেন। তিনি সেখানে শুয়ে পড়েন। সহকারী চালক বাসটি চালান।

সহকর্মীরা তাঁকে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। বলেন বাড়ি গিয়েই উলুবেড়িয়ায় চিকিৎসা করাবেন। এরপর রাতে তিনি পরিবারের লোকের সঙ্গে কথাও বলেন। পরে ঘুমিয়ে পড়েন। সহকর্মীর জানান, শেষে রবিবার ভোরে বাসটি তামিলনাড়ুর কাছে এক পেট্রল পাম্পে আসে তেল নেওয়ার জন্য। তখনই সহকর্মীরা বুঝতে পারেন অসুস্থ চালক মারা গিয়েছেন। পরে তাঁকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মহাদেবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

[আরও পড়ুন: পেটের টান, করোনাকে ‘কবর’ দিয়ে কাজে ফিরলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদিবাসী মহিলারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement