Advertisement
Advertisement

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের হোক, আহ্বান রাজ্যপালের

রাজ্যে পালাবদলের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য৷

Burdwan University will flourish, expects Governor
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 23, 2016 11:26 am
  • Updated:September 23, 2016 11:30 am

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম তকমা ঘুচিয়ে বিশ্বমানের গড়ে তুলতে হবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে৷ পরিকাঠামো থেকে পঠনপাঠনের গুণগত বাড়িয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ঠাঁই করে দিতে হবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে৷ বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনের দ্বারোদঘাটন করে এমনটাই জানালেন আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ তিনি আশাবাদী সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্বমানের হয়ে উঠতে পারবে এই ৫০ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়৷

উপাচার্য স্মৃতিকুমার সরকার জানান, রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় এই নতুন ভবন গড়ে উঠেছে৷ বক্তৃতায় উপাচার্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন ছাত্রভর্তি থেকে শিক্ষক নিয়োগ এইসব বিষয়কে আগে গুরুত্ব দেওয়া হতো না৷ রাজ্যে পালাবদলের পর তার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে পেরেছে৷ শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ হয়েছে৷ মেধার ভিত্তিতে গত কয়েকবছরে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ সেই সব শিক্ষকরা শুধু ছাত্রদের ক্লাসই নেন না, বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পও নিয়ে আসেন৷ যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি হয়৷ পড়ুয়াদেরও মেধার সঠিক বহিঃপ্রকাশের সুযোগ ঘটে৷

Advertisement
burdwan1_web
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। ছবি: মুকলেসুর রহমান।

উপাচার্য আরও জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর উপলব্ধি করেন একটা ‘জার্ক’ (ধাক্কা) প্রয়োজন এই বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয় বা বিশ্বমানের গড়ে তুলতে হলে৷ মফস্বলের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পড়ুয়াই নিম্নবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসে৷ তাদের সুযোগসুবিধা দিতে হবে৷ সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করেছেন তিনি৷ পঠনপাঠন থেকে পরীক্ষা, অনেক কিছুরই পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে৷

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষকও ছিলেন৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীতের বহু ঘটনা এদিন তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, শুধু পরিকাঠামো গড়লেই হবে না প্রশাসনকে আরও মানবিক হতে হবে৷ আগে নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা হতো, ফলপ্রকাশ হতো৷ সেইসব ধারা ধরে রাখতে হবে৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ, রেজিষ্ট্রার দেবকুমার পাঁজা প্রমুখ৷

 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement