ফাইল ছবি
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান স্টেশন চত্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শনিবার রাতে স্টেশনে ঢোকার মূল প্রবেশপথের সামনের ভবনের বারান্দার একাংশ আচমকাই ধসে পড়ে। ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা গিয়েছে। তাঁদের নাম পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, শনিবার রাত ৮টা ০৫ মিনিট নাগাদ প্রথমবার বারান্দার একাংশ ভেঙে পড়ে। তারপর আরও দুই দফায় ভেঙে পড়েছে বারান্দার ওই অংশ। বারান্দার বিম-সহ লোহারা কাঠোমার অংশ ভেঙে পড়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বর্ধমানের দমকল দপ্তরের কর্মীরা ছুটে এসেছেন। তাঁরা ভেঙে পড়া অংশ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।
১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের ওই পথেই রয়েছে রেলেন অনুসন্ধান কেন্দ্র। ঘটনার পর ওই প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। পাশে আরও একটি প্রবেশ পথ রয়েছে। সেটিও রেলের তরফে আপাতত বন্ধ করা হয়েছে বিপদের আশঙ্কায়। অনুসন্ধান কেন্দ্রটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এই ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আপের দূরপাল্লার বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করে। রাতের দিকেই বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেন হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে বর্ধমান স্টেশনে আসে। যা সাধারণত ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকে। এই সময়টায় অনুসন্ধান কেন্দ্রেও ট্রেনের খোঁজখবর নিতে যান যাত্রীরা। স্বাভাবিকভাবেই ওই সময় ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে দোতলার বারান্দার অংশ ভেঙে পড়ে। তার পর তিনতলার ছাদের অংশটিও ভেঙে পড়ে। এদিনই হাওড়ার ডিআরএম বর্ধমানে পরিদর্শনে এসেছিলেন। বিকেল ৪টে নাগাদ তিনি ফিরে যান। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতকাল হওয়ায় লোকজন কমছিল দুর্ঘটনার সময়। ঘটনাস্থলের অদূরেই বুক স্টল রয়েছে দীনেশ জৈনের। রাতে তিনি জানান, আচমকাই হুড়মুড়িয়ে কিছু ভেঙে পড়ার আওয়াজ হয়। সকলেই আতঙ্কিত পড়েন। তিনি বইপত্র সরিয়ে নিয়ে যান। গিয়ে দেখেন দুই-তিনবারে বারান্দার ওই অংশটি ভেঙে পড়েছে। সেখানকার পিলারের অংশে কয়েকদিন ধরে কাজ চলছিল বলে হকাররা জানিয়েছেন। তারই কোনও ত্রুটিতে এই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে অনুমান করছেন তাঁরা। যদিও রেলের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.