Advertisement
Advertisement
বর্ধমান রেল সেতু

অবশেষে রেলের ফিট সার্টিফিকেট, জট কাটিয়ে বর্ধমান রেল সেতুতে শুরু যান চলাচল

আপাতত মোটর সাইকেল ও তিন চাকার যান চলাচল হচ্ছে না রেলসেতুতে।

Burdwan rail bridge is open for transport after long controversy
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 27, 2019 7:59 pm
  • Updated:September 27, 2019 7:59 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: দীর্ঘ নাটকের পর বর্ধমানের নবনির্মিত রেলসেতুর জট কাটল। উদ্বোধনের আগে শুক্রবার বিকেল থেকেই যান চলাচল শুরু হয়ে গেল। রেলের তরফে বৃহস্পতিবার রাতেই পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, যান চলাচল শুরু করা যেতে পারে সেতুতে। ট্রাফিক-সহ নিরাপত্তাজনিত বেশ কয়েকটি কারণে আপাতত জেলা পুলিশের তরফে মোটরবাইক ও তিন চাকার যান চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। দু, একদিনের মধ্যে তা-ও চালু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে রেলের তরফে সেতুটি উদ্বোধনের সম্ভাবনাও আর রইল না।

[আরও পড়ুন : বাস্তবের ‘উমা’, বাবার পেশাকে আপন করেই দিগ্বিজয়ী ছৌ শিল্পী মৌসুমী]

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাওড়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ইশাক খান জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) সেতুতে যান চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় ফিটনেস সার্টিফিকেট দিয়েছে। শুক্রবারই আরভিএনএল-এর তরফে সেতুতে ওঠার ব্যারিকেডও তুলে দেওয়া হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। জেলাশাসক বলেন, “সেতুতে যান চলাচল শুরু করা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন,পুরনো রেল সেতু বিপজ্জনক ঘোষণার পর শহরে বাস ঢোকার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। রেলসেতুর নিচে বাজেপ্রতাপপুরের দিকে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডও তৈরি করা হয়। এদিন পরিবহণ আধিকারিক রানা বিশ্বাস বাস সংগঠনগুলিকে ডেকে নতুন রেল সেতুতে যান চলাচলের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি, অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডও শনিবার থেকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এদিন কয়েক দফায় সেতু পরিদর্শনে যান। সেতুতে যান নিয়ন্ত্রণে ৭০ জন কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন : নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা, বৃষ্টির মধ্যেই কাটবে পুজো]

এদিকে, সেতু নিয়ে আদতে যে তৃণমূল বনাম বিজেপির অদৃশ্য লড়াই চলছিল, তা স্পষ্ট। সেতু উদ্বোধনের পর বুধবার তৃণমূলের তরফে ব্যারিকেড সরিয়ে যান চলাচল শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ঘণ্টা চারেকের মধ্যে রেল তা বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার ভোরে বিজেপির তরফে বাইকবাহিনী গিয়ে ব্যারিকেড সরিয়ে সেতুতে যান চলাচল শুরু করা হয়। ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে তাঁরা ঘোষণা করে, কেন্দ্রীয় সরকারই সেতু গড়েছে। তাই তারাই উদ্বোধন করে দিল। বিজেপি জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর দাবি, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলেই এই কাজে গতি পেয়েছে। রাজ্য সরকার উদ্বোধন করে দিয়ে কৃতিত্ব জাহির করে। তাই তাঁদের ছেলেরা গিয়ে সেতুতে বাইক চালিয়েছে। তবে শুক্রবার থেকে সেই তরজায়ও ইতি পড়ল।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement