প্রতীকী ছবি
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবার জাল নথিতে পাসপোর্ট তৈরি চক্রে আরও দুজনের খোঁজ মিলল। হুগলির সিঙ্গুর থেকে বর্ধমান থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে কড়া নজরদারি চলছে। জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারীদের সীমান্ত পেরিয়ে আসার আশঙ্কাও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই একাধিক জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছে। তার মধ্যে জাল পাসপোর্টচক্রের হদিশও সামনে এসেছে। কলকাতা থেকে বারাসত হয়ে একাধিক জায়গায় জাল পাসপোর্টের চক্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
এবার বর্ধমানেও সেই চক্রের খোঁজ মিলল। তদন্তে নেমে পুলিশ সিঙ্গুর থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল। ধৃত দুই ব্যক্তির নাম গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্ত। ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাঁদের থেকে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। চক্রের জাল কতটা বিছানো আছে? সেই খোঁজই পেতে চাইছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের বাসিন্দা রিঙ্কা দাস পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন। সেই পাসপোর্টের নথি পরীক্ষার সময় পুলিশ জানতে পারে রিঙ্কার জন্মের সংশাপত্র জাল। যে হাসপাতালের শংসাপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে যাচাই করতে গিয়ে পুলিশ এই সত্য জানতে পারে। রিঙ্কাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বর্ধমান শহরেরই স্বরূপ রায় নামে একজনের নাম সামনে আসে। ওই ব্যক্তিই জন্মের জাল শংসাপত্র করে দিয়েছিলেন। রিঙ্কার বাড়ি বর্ধমান শহরের নতুনপল্লীতে। স্বরূপের বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুরে। রিঙ্কাকে গত ১৯ ডিসেম্বর গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। স্বরূপকেও পাকড়াও করা হয়।
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সিঙ্গুরের গণেশ চক্রবর্তী ও অনির্বাণ সামন্ত এই জাল শংসাপত্র করে দিয়েছিলেন। তারপরেই সিঙ্গুরে হানা দেয় বর্ধমান থানার পুলিশ। নথি জাল করার অভিযোগে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের হেপাজতে নিয়ে এই চক্রে আর কেউ জড়িত কিনা জানার চেষ্টা চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.