সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও কোভিড-১৯ পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা। ইতিমধ্যে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। আইসিএমআর-এর প্রতিনিধি দল শীঘ্রই পরিদর্শনে এসে ছাড়পত্র দেবে বলে আশাবাদী পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য যে বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হয় তা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেই। সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের। প্রাণীবিদ্যা বিভাগে রয়েছে রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর যন্ত্র। যা কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য অপরিহার্য। সেই যন্ত্র বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্ধমানে করোনা পরীক্ষা হলে দ্রুত রিপোর্ট মিলবে, বেশি সংখ্যায় তা করানোও সম্ভব হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
জেলাশাসক বিজয় ভারতী সোমবার জানান, বর্ধমানে করোনা পরীক্ষার জন্য অনেক আগেই আবেদন করা হয়েছিল। আগেই অনুমোদনও পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা হয়নি। এবার সেই অনুমোদন এসেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য বর্ধমান মেডিক্যালকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে কেন্দ্রীয় সংস্থা আইসিএমআর। সংস্থার প্রতিনিধি দল এসে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে চড়ান্ত অনুমোদন দেবে। জেলাশাসক জানান, কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর যন্ত্রের প্রয়োজন। যার মাধ্যমে প্যাথোজেন, বিশেষ করে ভাইরাসের জেনেটিক উপাদান জানা যায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার জানান, জেলা প্রশাসনের তরফে ওই যন্ত্রটি চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় তা দেবে জনস্বার্থে।
জেলায় বর্তমানে দু’জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। দু’জনই একই পরিবারের সদস্য। কোভিড-১৯ হাসপাতালে সন্দেহভাজনদের ভরতি করা হচ্ছে। সেখান থেকে তাঁদের লালরস নাইসেডে পাঠানো হচ্ছে। সেখান থেকে রিপোর্ট পেতে পেতে দু’দিনেরও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে। আবার বেশি সংখ্যায় পরীক্ষা করাতেও সমস্যা হচ্ছে। লকডাউনের আগে থেকেই বর্ধমান মেডিক্যালেও কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা দাবি ওঠে। আবেদনও করা হয়। তার অনুমোদন পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা। জেলাশাসক বলেন, “আইসিএমআর পরিদর্শন করলেই অনুমোদন মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০০ কিটও পাঠানো হয়েছে এখানে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.