সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েন। একই দড়ির ফাঁসে ঝুললেন প্রেমিক-প্রেমিকা। দেহদুটি উদ্ধার হল বর্ধমানের মন্তেশ্বরের সিহি গ্রাম থেকে। মৃতদের নাম অনিতা হাঁসদা (৩০) ও রাজেশ মান্ডি (৩২)। অনিতার বাড়িতেই দু’জনে আত্মঘাতী হন। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না গৃহবধূ অনিতার স্বামী সুনীল হাঁসদা। পেশায় শ্রমিক সুনীলবাবু আলুর ট্রাকে চেপে মেদিনীপুরে গিয়েছেন সোমবার বিকেলে। পুলিশের অনুমান, স্বামীর অনুপস্থিতিতেই প্রেমিককে বাড়িতে ডেকেছিলেন অনিতা। সেই সময় প্রেমঘটিত বিষয়ে দু’জনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়ে থাকতে পারে। এর জেরেই একই দড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন অনিতা ও রাজেশ। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
জানা গিয়েছে, সুনীল ও অনিতার এক শিশুকন্যাও রয়েছে। তার নাম বন্দনা। অন্যদিকে মৃত রাজেশও বিবাহিত। তাঁর স্ত্রীর নাম সুন্দরী মান্ডি। তাঁদের দুটি মেয়ে রয়েছে। ঘটনার দিন সুন্দরীও বাড়িতে ছিলেন না। মেয়েদের নিয়ে তিনি বাপেরবাড়িতে গিয়েছেন। তাই স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অনিতা হাঁসদার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রাজেশ। মান্ডি ও হাঁসদা পরিবারের বসবাসও এক পাড়ায়। সঙ্গোপনে দুজনেই দেখা সাক্ষাৎ করতেন। দুজনের মধ্যে যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অনিতা ও রাজেশ রাতেই আত্মঘাতী হন। ঘটনার সময় বাড়ির দরজা খোলা ছিল। স্থানীয়রা সকালবেলা বাড়ির সামনে যেতে গিয়েই দেখে দরজা হাট করে করে খোলা আছে। কেউ কোথাও নেই। উঁকি দিয়ে দেখতেই নজরে আসে একই দড়িতে ঝুলছেন রাজেশ ও অনিতা। দুজনেরই মৃত্যু হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই মন্তেশ্বর থানায় খবর দেওয়া হয়। তবে কি নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁরা কেনই বা আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃত অনিতার স্বামী ও রাজেশের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দেরও জেরা করবে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.