ফাইল ছবি
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পরিযায়ী শ্রমিকরা যত বেশি সংখ্যায় বাড়ি ফিরছেন করোনা সংক্রমণও যেন সমানুপাতিক হারে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে পাঁচটি জেলার করোনা রোগীর একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতাল সেই চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এমনকী মাঝরাতেও রোগী পাঠানোর ফলে চরম সমস্যায় পড়ে যেতে হচ্ছে এই হাসপাতালকে। সনকা হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে এবার বর্ধমানের প্রি-কোভিড হাসপাতালকেই COVID-19 হাসপাতাল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক বিজয় ভারতী শুক্রবার জানান, রাজ্য থেকে পরিদর্শন করে সবুজ সংকেত দিলেই বর্ধমান নয়া COVID-19 হাসপাতাল পেয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান জেলার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হচ্ছে সনকা হাসপাতালে। পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতেই সব জেলাতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। গত তিনদিনে শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই ওই হাসপাতালে ৩৫ জন করোনা আক্রান্তকে পাঠানো হয়েছে। বুধবার ২১ জন ও বৃহস্পতিবার ১৪ জনকে পাঠানো হয়েছিল সেখানে। রোগী পাঠাতে মধ্যরাতও হয়ে যাচ্ছে অনেক সময়। ফলে বিশাল সংখ্যার রোগীর চাপ ও নির্দিষ্ট সংখ্যক কর্মী নিয়ে সামাল দিতে পারছে না ওই হাসপাতাল। সেই কারণে বর্ধমানে নয়া COVID-19 হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ১৩৮টি বেড থাকবে রোগীর জন্য। পাশাপাশি, দুর্গাপুরের ওই কোভিড হাসপাতালে অতিরিক্ত কর্মী দিয়ে সহায়তা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রতি জেলা থেকে একজন করে স্বাস্থ্যকর্মীকে সনকা হাসপাতালে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট জেলা ও ওই হাসপাতালের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। রোগী ভর্তি ও রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়া পাওয়ার সময়ে তিনিই দায়িত্বভার সামলাবেন। কোনও রোগী পাঠানোর অন্ততপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে সনকা হাসপাতালকে সেই বিষয়ে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। হেল্প ডেস্ক চালু করা হবে প্রতিটি জেলার জন্য। এছাড়া রোগীর সঙ্গে তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্টের কয়েকটি কপিও দিতে হবে। একটি হাসপাতাল নেবে। একটি সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পে দিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.