সৌরভ মাজি, বর্ধমান: প্রবল গুলিবর্ষণ। মাঝে মাঝে তোপধ্বনি। কাশ্মীর সীমান্তে পাক জঙ্গিদের রুখতে বুক চিতিয়ে লড়ছে ভারতীয় সেনা। তাদের অকুতোভয় মনোভাবে কার্যত পর্যুদস্ত জঙ্গিরা। সেনাদের নিপুণ চালে ধরাও পড়ল এক জঙ্গি। তার হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। কিন্তু ভারতীয় সেনার কাছে কাবু হয়ে সে নতমস্তক।
[মা যে জীবন্ত! জানেন কীভাবে প্রমাণ করেছিলেন সাধক কমলাকান্ত?]
তাকে গ্রেপ্তার করে আর আইনি পথে হাঁটার পরিকল্পনা ছিল না। কিংবা জঙ্গিদের মতো কাপুরুষতার পরিচয় দিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাও করা হয়নি। বাহিনীর জওয়ান-কর্তারা তাকে নিয়ে সোজা হেঁটেছেন মায়ের মন্দিরে। মা-কালীর কাছে নিয়ে গিয়ে হাজির করলেন জঙ্গিকে। তারপর মাকে স্যালুট করলেন সেনা জওয়ানরা। মায়ের কাছে তাদের একটাই আরজি, মা এই জঙ্গিকে তোমার কাছে পেশ করলাম। তুমিই এর বিচার করো।
হ্যাঁ, মা কালীই এবার সমাধান করবেন কাশ্মীর সমস্যার!
শুনতে একটু অবাক লাগলেও এমনই কাণ্ড ঘটছে। তবে সেটা কাশ্মীরে নয়, এবঙ্গে। বর্ধমানের একটি মণ্ডপে কালীপুজোয় এবার এমনই আয়োজন করা হয়েছে। শ্যামা মায়ের আরাধনায় বর্ধমানের শাঁখারিপুকুরে অগ্রদূত সঙ্ঘের পুজো এবার ৫৫ বছরে পড়ল। এবার পুজোর থিম, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মা-কালী। হাওড়ার বালির শিল্পী চন্দ্রশেখর শেঠ থিমের রূপকার। তিনি জানান, কাশ্মীর সমস্যা দীর্ঘদিনের। কোনওভাবেই তার সমাধান করা যায়নি। তাই এবারের পুজোর থিম এই জ্বলন্ত সমস্যা। আমাদের আশা মা-ই এবার কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করবেন।
[ইসলাম গ্রহণ করেও কেন সাধনা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ?]
শিল্পীর সংযোজন, “দীর্ঘদিনের এই সমস্যা মেটাতে মা কালীর কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস ভূস্বর্গে শান্তি একমাত্র তিনিই ফেরাতে পারবেন। এটাই পুজোর বার্তা। ক্লাবের সম্পাদক বিবেকানন্দ সেন জানান, তাঁদের প্রতিষ্ঠানের জন্মলগ্ন থেকেই কালীপুজো হচ্ছে। অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় ধরে হচ্ছে মাতৃ আরাধনা। বিগত কয়েকবছর ধরে কালীপুজোয় থিমের প্রবেশ ঘটেছে। বর্ধমানে হাতে গোনা কয়েকটি ক্লাবের পুজোয় থিম হয়ে থাকে। তার মধ্যে অগ্রদূত সঙ্ঘ অন্যতম। কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তা নিয়ে কালিকার হস্তক্ষেপ। এই থিম দর্শকদের অনেক কৌতূহল মেটাবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।
ছবি: মুকলেসুর রহমান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.