Advertisement
Advertisement
লকডাউন

সাধারণের সঙ্গে মেশার আশঙ্কা, পরিযায়ীদের চিহ্নিত করতে বর্ধমানে ব্যবহার হবে ভোটের কালি

কোয়ারেন্টাইন ভেঙে অনেকেই মিশে যাচ্ছেন সাধারণের ভিড়ে, সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত।

Burdwan administration to 'mark' migrant labourers with indelible ink

ফাইল ছবি

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 29, 2020 1:04 pm
  • Updated:May 29, 2020 1:09 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: কেউ ভোটদান করেছেন কি না তা জানা যায় হাতে থাকা কালিতেই। এবার সেই ভোটের কালিই ব্যবহার করা হবে ভিনরাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

কিন্তু কেন? ভিনরাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পর তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক। তারপর চিকিৎসক কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন, আবার কাউকে পাঠানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। কিন্তু অনেকেই সেই নিয়ম ভেঙে, লুকিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। ফলে করোনা মোকাবিলায় সরকারি প্রচেষ্টা বিফলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে। সেই কারণেই এবার ভোটের কালিকেই হাতিয়ার করা হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের চিহ্নিত করতে। জেলা শাসক বিজয় ভারতী বৃহস্পতিবার বলেন, “যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে তাঁদের বুড়ো আঙুলে কালি দেওয়া হবে। আর যাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হবে তাঁদের কড়ি ও অনামিকা, এই দুই আঙুলে কালি দেওয়া হবে। ফলে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: শূন্য ব্লাড ব্যাংক, রক্ত দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রাণ বাঁচালেন পুলিশ আধিকারিক]

জেলা শাসক জানান, কেউ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না গিয়ে বাড়ি চলে গেলেও বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্যকর্মীরা সার্ভিল্যান্স করার সময় তাঁদের চিহ্নিত করে ফেলবেন আঙুলের কালি দেখে। তখন তাঁদের আবার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, এই কালি জেলা প্রশাসনের কাছে আগে থেকে কিছুটা মজুত ছিল। নতুন করেও কালি সংগ্রহ করা হবে প্রয়োজন মত। এদিকে, বর্ধমান স্টেশনকে দক্ষিণবঙ্গের টার্মিনাল স্টেশন করে দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলার কয়েক হাজার করে পরিযায়ী শ্রমিক এখানে নামছেন। জেলা শাসক জানান, এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে বর্ধমান থেকে রামপুরহাট হয়ে মালদহ পর্যন্ত এবং হাওড়া বা ডানকুনি পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেনের বন্দোবস্ত করার জন্য রাজ্যের পরিবহণ দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। রাজ্য রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রসঙ্গত, বুধ ও বৃহস্পতিবার সবমিলিয়ে প্রায় ৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক নামেন বর্ধমান স্টেশনে। তাঁদের নিজের নিজের জেলায় পাঠাতে প্রচুর বাসের প্রয়োজন পড়েছে। অনেক ঝক্কিও নিতে হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। সেই কারণে দুইটি রুটে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের জন্য আবেদন করেছেন জেলা শাসক।

[আরও পড়ুন: প্রিয়জন হারানোর বেদনা চেপে অন্যদের সতর্কবার্তা, পণ্যবাহী গাড়ির পিছনে লেখা মূল্যবান কথা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement