সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ছাদের ঘরে ডাঁই করে মজুত ছিল বাজি, বাজির মশলা। সেসবই নিষিদ্ধ শব্দবাজি। রবিবার সন্ধেবেলা সেই ঘরে চলছিল পুজোপাঠ। জ্বালানো হয় মোমবাতি, ধূপ। সেসময় আচমকাই ধূপের (Fragrance Sticks) আগুন ধরে যায় বাজির মশলায়। আর তাতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। বজবজের নন্দরামপুরের দাসপাড়ার বেআইনি বাজি কারখানায় দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে এমনই জানাচ্ছে পুলিশ। রবিবারের ঘটনার পর রাতভর সেখানে তল্লাশি চলে। উদ্ধার হয়েছে ২০ হাজার কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। মহেশতলা, বজবজ এলাকা থেকে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাদের আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে।
ধূপের সুগন্ধ যেন নিমেষেই বদলে গেল প্রাণঘাতী আগুনে। বজবজের (Budge Budge)দাসপাড়ায় এক বাড়িতে সেই আগুনে ঝলসে প্রাণ হারাল ১০ বছরের মেয়ে জয়শ্রী ঘাঁটি, ৪৫ বছরের পম্পা ঘাটি ও বছর পঁয়ষট্টির যমুনা দাস। এই ঘটনায় নিমেষেই তোলপাড় পড়ে যায়। প্রতিবেশীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। ডায়মন্ড হারবারের ডিএসপি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল নিরুপম ঘোষের নেতৃত্বে চলে অভিযান। বেশ কয়েকটি টিম ভাগ করে বিস্ফোরণস্থল ও সংলগ্ন এলাকায় নিষিদ্ধ বাজির সন্ধানে তল্লাশি চালানো হয়। রাতভর অভিযানে প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এদিকে, এত বাজি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করায় অত্যন্ত হতাশ সেখানকার ব্যবসায়ীরা। তাঁদের পালটা বক্তব্য, ওইসব বাজির লাইসেন্স (Liscence) ছিল। কিন্তু পুলিশ তল্লাশি চালানোর সময় কিছু না দেখেই সব ঘর থেকে বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গিয়েছে। এতে তাঁদের ব্যবসা কার্যত শেষ হয়ে গেল বলে মনে করছেন। ব্যবসায়ীদের হতাশা, সমস্যার পরও অবশ্য এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত বাজিই যদি হয়, তাহলে পুলিশ কীভাবে এত শব্দবাজি উদ্ধার করল? নির্দিষ্ট ডেসিবেলের উপর শব্দবাজি তো নিষিদ্ধই রাজ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.