Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rakhi Bandhan

রাখির বন্ধন সীমান্তেও, BSF ও জেলবন্দিদের হাতে রাখি বেঁধে ভ্রাতৃত্বের বার্তা

ঘোজাডাঙা সীমান্তে ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে এই রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সোমবার।

BSF, Prisoners and border area's people celebrate Rakhi Bandhan along North 24 Parganas
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 19, 2024 5:43 pm
  • Updated:August 19, 2024 7:12 pm  

গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি আর একে অপরকে রক্ষার প্রতিশ্রুতিই রাখিবন্ধন। আর তা অটুট রাখতে আজ, সোমবার সীমান্তেও পালিত রাখিবন্ধন উৎসব। বিএসএফ জওয়ানদের হাতে রাখি বেঁধে দিলেন বসিরহাট সীমান্তের মানুষজন। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তের ইটিন্ডা-পানিতরে হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতি রক্ষার্থেও রাখিবন্ধন হয়ে গেল। আবার এদিন বসিরহাট উপ-সংশোধনাগারে ২০৬ জন বন্দির হাতে রাখি (Rakhi)পরিয়ে দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের সম্পাদক রেখা রায়ের কথায়, “আজকের দিনে বোনেদের কাছ থেকে রাখি পরা। তার থেকে বন্দিরা যেন বঞ্চিত যাতে না হয় তাই এই উদ্যোগ।” এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বসিরহাটের জেলার অমিত ভট্টাচার্য। এখানে ২৬ জন আন্তর্জাতিক বন্দি রয়েছেন বলেও তিনি জানান।

রাখিবন্ধন (Raksha Bandhan), ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালোবাসা, ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীক। বছরের প্রায় ৩৬৫ দিনই পরিবার থেকে দূরে থাকেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। একদিকে তাঁদের কথা মাথায় রেখে, এবং সীমান্তের (Border) হিন্দু-মুসলমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও শক্ত করার বার্তা দিতে ইটিন্ডা-পানিতর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন বলে জানান বসিরহাট ১ নং ব্লকের মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ শরিফুল মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন, বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, ১ নম্বর ব্লকের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সফিকুল দফাদার, পঞ্চায়েত প্রধান মেহেরুন্নেসা খাতুন বিবি, উপপ্রধান চিন্ময় সরকাররা। ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ঘোজাডাঙা সীমান্তের বিএসএফ (BSF) জওয়ান ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মায়ের গুলিতে ঝাঁজরা মেয়ের ধর্ষক-খুনি! আর জি করের ঘটনায় ফিরছে অ্যানার স্মৃতি]

প্রধান মেহেরুন্নেসা খাতুন বিবি বলেন, “আমাদের সুরক্ষার জন্য স্বজনদের ছেড়ে ভাইয়েরা সীমান্তে পাহারা দিচ্ছেন। বিশেষ এই দিনে তাঁদের যাতে মন খারাপ না হয়, সে জন্যই জওয়ানদের হাতে রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।” বিধায়ক বলেন, “দুই বাংলার সম্প্রীতির বার্তার পাশাপাশি, বাংলাদেশ (Bangladesh) জিরো পয়েন্টে আমরা একদিকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, অন্যদিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের রাখি পরিয়ে দুই বাংলার সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয়।”

[আরও পড়ুন: গণধর্ষণের শিকার আর জি করের তরুণী চিকিৎসক, বলছে ময়নাতদন্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement