সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: লোকসভা ভোটে যাদের উপস্থিতিতে অভয় মেলার কথা। তারাই যেন এখন আমজনতার কাছে যেন বড় বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ষষ্ঠ দফার ভোটের দিন ন’বছরের এক আদিবাসী নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। সোমবার ওই ঘটনায় কাশীপুর থানায় অভিযোগ হওয়ার পরই এদিন দুপুরের দিকে ওই জওয়ান ভোটের ডিউটি করতে পুরুলিয়া জেলা ছেড়ে কলকাতা ও শহরতলী এলাকায় যাচ্ছিলেন। তখনই কাশীপুর থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জওয়ানের নাম রাজবীর সিং। বিএসএফের এএসআই পদে রয়েছেন তিনি। তার বাড়ি রাজস্থানে। মঙ্গলবার ধৃতকে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হবে।
গত রবিবার ভোট চলাকালীন রিজার্ভে থাকা ওই বিএসএফ জওয়ান কাশীপুরের আগরডি চিত্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটিন এলাকার জঙ্গলে যায়। সেখানেই ন’বছরের ওই আদিবাসী বালিকাকে পেয়ে শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ওই কিশোরীর চিৎকারে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে কাশীপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তারপর রাতে দায়ের হয় অভিযোগ। ঘটনার পর বিষয়টি এলাকায় চাউর হয়ে গেলে ভাটিন এলাকার বুথে ওই দিন দু’ঘণ্টা ভোট বন্ধ থাকে। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশ বিক্ষোভ সামাল দিয়ে ভোট শুরু করে।
[ আরও পড়ুন: হাতিয়ার উন্নয়ন, নুসরতকে ভোটদানের আরজি অভিনেতা সোহমের ]
কাশীপুরের বাসিন্দা তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “ভোট করাতে এসে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে এমন ঘটনা ঘটাবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি। সাধারণ মানুষকে অভয় দেবে কী! এ তো দেখছি বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও বুথে লাঠি চার্জ, কোথাও গুলি, আবার কোথায় শ্লীলতাহানি। আমরা ভাবতে পারছি না। এরা কি করতে চাইছেন? তবে আমি যা শুনেছি ওই জওয়ান জঙ্গলে মদ খেতে গিয়েছিল। সেইসময় এই ঘটনা ঘটায়।”
কাশীপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফর্ম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট ২০১২ (পকসো) আইনে মামলা হয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা রুজু করা হয়। তারপরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”
ছবি– অমিত সিং দেও
[ আরও পড়ুন: বিএসএফ ক্যাম্পে সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী জওয়ান ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.