বালুরঘাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের দীপাবলি উদযাপন।
রাজা দাস, বালুরঘাট: দায়িত্ব বড় বালাই। আর সেই দায়িত্ব যদি দেশরক্ষা হয় তাহলে তো কথাই নেই। কাজই তখন স্বজন হয়ে দাঁড়ায়। কাজের ফাঁকেই উৎসবের অবকাশ খুঁজে নিতে হয়। যেমনটা করলেন বালুরঘাটে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বিএসএফ জওয়ানরা। দীপাবলি এলেও একসঙ্গে সব সীমান্তরক্ষীরা ছুটি পাবেন না এটাই স্বাভাবিক। যাঁরা এই দীপাবলিতে বাড়ি যেতে পারলেন না, তাঁরা কাঁটাতারের পাশেই আতশবাজি জ্বালিয়ে আলোর উৎসব উদযাপন করলেন। বাড়িতে যখন ঘর আলো করে দিয়া জ্বলছে বিদেশ বিভুঁইয়ে কাঁটাতার আলোকিত হল সীমান্ত প্রহরীর জ্বালানো মোমবাতিতে। এভাবেই দীপাবলি উদযাপিত হল বালুরঘাটের ডাঙ্গী বিওপির সীমান্তে।
দীপাবলির সন্ধ্যায় বিএসএফের ১২২ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা কাঁটাতারে মোমবাতি জ্বালিয়ে, আতশবাজি পুড়িয়ে দীপাবলির উৎসবে শামিল হন। সেনা জওয়ানরা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। উৎসবের মরশুমে পরিবার পরিজনদের থেকে হাজার মাইল দূরে কাঁটাতারের কঠিন মাটিতে কাটল দিপাবলীর রাত। মোবাইলে প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলা, সুখ-দুঃখের খোঁজ নেওয়া, শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর হয়তো সেলফি তুলে দু’তরফের দেখা সাক্ষাৎ। এইভাবেই পরিজনদের সান্নিধ্যে মোমবাতি জ্বালিয়ে কাটল দীপাবলি। মিষ্টিমুখের পর সীমান্তরক্ষায় শহিদ জওয়ানদের স্মরণে মোমবাতি হাতে হল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
বিএসএফের ১২২ নম্বর ব্যাটালিয়নের ইন্সপেক্টর সুনীল কুমার জানান, এমন দিনে বারবার পরিবার পরিজনদের কথা মনে পড়ে। দেশের সুরক্ষা যখন কাঁধে তখন ইচ্ছে থাকলেও উপায় তো নেই। তাই উৎসব এলে ব্যাটালিয়নের সহকর্মীরাই হয়ে ওঠেন বল ভরসা। পরিজনদের কাছে থাকার দুঃখ ভুলে সহকর্মীদের সঙ্গে বাজি পুড়িয়ে মিষ্টিমুখ করে সন্ধ্যাটি কাটানো হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.