শেখর চন্দ্র, আসানসোল: রাজ্যে ফের শুটআউট (Shoot Out)। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে যুবকের বুক লক্ষ্য করে চলল গুলি। পিঠ ফুঁড়ে একটি বেরিয়ে গেলেও অপরটি মৃতের মাথার পিছনেই আটকে ছিল। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের শ্রীপুর এলাকায়। অভিযোগ, পরিবারের দুই বউয়ের অশান্তি থামাতে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ২ ভাই। সেই কথা কাটাকাটির জল গড়ায় বহু দূর। শেষে ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে দাদা।
মৃত যুবকের নাম শেখ সফদার ওরফে বাবন আনসারি (৩৩)। জামুড়িয়া থানার শ্রীপুরের নাজির পাড়ার বাসিন্দা। খুনের অভিযোগ উঠেছে মৃতের দাদা শেখ হায়দারের বিরুদ্ধে। জামুড়িয়া থানার পুলিশ এসে ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। একটি পাইপগানও উদ্ধার হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) তথাগত পাণ্ডে তদন্তে শুরু করেছে। মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তের শেষে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বুক লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালায় হায়দার। একটি গুলি বাবনের বুকে লাগে। সেটি পিঠ ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। অপর গুলিটি লাগে বাবনের কপালে। অন্য একটি গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সফদার আনসারিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে বাবনের স্ত্রীয়ের সঙ্গে হায়দারের স্ত্রীর কথা কাটাকাটি বাঁধে। সেইসময় বাবন দুই জায়ের ঝগড়ার মধ্যে ঢুকে পড়ে। এরপর হায়দারও সেখানে আসে। ঝগড়া থামাতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ঝগড়া চলাকালীন হায়দার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পাইপগান নিয়ে ফিরে আসে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মৃত যুবকের বাবা আকবর আনসারি বলেন, “কী করে এমন ঘটনা ঘটে গেল, বুঝতে পারছি না। দুই বউমার ঝগড়ায় দুই ছেলে জড়িয়ে পড়ে। তার পর এই কাণ্ড।”
এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি (সেন্ট্রাল) তথাগত পাণ্ডে বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র-সহ অভিযুক্ত হায়দার আনসারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পারিবারিক অশান্তির সময় ছোট ভাইকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বড় ভাই।” তিনি আরও জানান, হায়দার আনসারি কোথা থেকে এই পাইপগান পেল, তা তাকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.