ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: গেরুয়া হাওয়ায় সবুজ হারাচ্ছে বীরভূমের লালমাটি৷ মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম ভরসার পাত্র জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নিজের পারফরম্যান্স ঠিকঠাক থাকলেও, আশেপাশের লোকজন মোটেই তাঁর অনুকূলে কাজ করছে না৷ এবার অনুব্রতর গড়ে ফাটল চওড়া করে বোলপুরে প্রকাশ্য জনসভায় বিজেপিতে চলে গেলেন তাঁর ভাই৷
লোকসভা ভোটের আগে,পরে জেলাজুড়ে তৃণমূলে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে৷ তারই মাঝে বৃহস্পতিবার দাদার দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নিলেন অনুব্রত মণ্ডলের খুড়তুতো ভাই সুমিতরঞ্জন মণ্ডল। এছাড়াও এদিন বোলপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক৷ এমনিতে অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল বলেই স্থানীয় সূত্রে খবর৷ তাহলে কেন রাজনৈতিক মতামত আলাদা হয়ে গেল দু’ভাইয়ের? সেই উত্তর নিজেই দিয়েছেন সুমিত৷ বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি জানিয়ে দেন, ‘বিজেপির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি।’
বৃহস্পতিবার বোলপুরে রেল ময়দানে বিজেপির প্রকাশ্য জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কালোসোনা মণ্ডল, রামপ্রসাদ দাস-সহ অন্যান্যরা। এদিন বোলপুর পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড থেকে ১১০০ এবং বোলপুর গ্রামীণ থেকে ৪০০ বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘বোলপুর থেকে অনুব্রত মণ্ডলের ভাই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পাশপাশি বোলপুর থেকে দেড় হাজার জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একইভাবে মুরারই, সিউড়ি ২নং থেকেও কয়েক হাজার সদস্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছে।’
তবে অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের মাঝে রাজনৈতিক ভাঙনের ঘটনা এদিন সবচেয়ে বেশি আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে৷ অনেকে বলছেন, দাদার সঙ্গে থেকে লাভ নেই, তা বেশ বুঝেছেন সুমিতরঞ্জন৷ তাই চলতি হাওয়ার পন্থী হয়ে তিনিও নাম লেখালেন পদ্মশিবিরে৷ এরপর কি আর দু’ভায়ের সম্পর্ক সুন্দর থাকবে আগের মতো? সেই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বোলপুরের অন্দরে৷
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.