টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: নামে কি-ই বা আসে যায়! তবে নামে আসলেই আসে যায়। অন্তত তেমনটাই দেখা গেল বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর হাই স্কুলে। রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর নাম ব্রাত্য বসু। চলতি বছর মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ৬৮৬ নম্বর পেয়ে অষ্টম স্থান দখল করেছে বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের ছাত্র ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ঘটনাচক্রে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে নামের এই মিল থাকায় কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি এই পড়ুয়াকে।
শুধুমাত্র মাধ্যমিকের মতো জীবনের প্রথম পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দিনই নয়, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে নামের মিল থাকায় বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের এই মেধাবী ছাত্রকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে স্কুলের সহপাঠী থেকে শিক্ষকদের কাছেও। অন্তত এমনটাই জানাচ্ছে মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের ঝাপড়মোড়ের দ্বারকা কমপ্লেক্সের এই বাসিন্দা। ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থানে তার নাম ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানতে তাকে ফোন করা হলে সে বলে, “ভাল ফল হবে বলে আশা করেছিলাম, কিন্তু মেধাতালিকায় আমার নাম থাকবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।”
আবার নামের প্রসঙ্গ উঠতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নামের সঙ্গে তার নামের মিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, “নামের বিড়ম্বনা ক্রমেই বাড়ছে। স্কুলেও আমাকে আমার বন্ধুরা ‘শিক্ষামন্ত্রী’ বলত। সংস্কৃত শিক্ষক বিপ্লব গড়াই ক্লাসে ঢুকলেই আমাকে উদ্দেশ্য করে বলতেন, আমার ক্লাসে ‘শিক্ষামন্ত্রী’ আছেন।” রেজাল্ট ঘোষণার পর বিভিন্ন জায়গা থেকেও মজা করে ‘শিক্ষামন্ত্রী’র বাড়িতে ফোন এসেছে। এই খবর পেয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “আমার ধারণা ছিল, এই নাম খুবই আনকমন। তবে শুনে ভাল লাগছে। আমার আশীর্বাদ, অনেক শুভেচ্ছা রইল।”
ব্রাত্যর বাবা চণ্ডীদাস বসু প্রাক্তন সেনাকর্মী। ছেলের নামের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর নামের মিল শুনে হেসে ফেললেন বাবা। চণ্ডীবাবুর কথায়, “আমার ভাই পেশায় চিকিৎসক। ওই ছেলের নামকরণ করেছিল। তখন কি জানতাম শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ওর নাম মিলে যাবে!” মা শীলা বসু বলছেন, “গুণেও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যেন মিল থাকে আমার ছেলের।” তবে অষ্টম স্থান পেয়ে বিষ্ণুপুর হাই স্কুলের এই ছাত্র বলছে, চিকিৎসক হতে চায় সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.