সংগ্রাম সিংহরায় : বাজার মাতাতে আসছে ‘ব্র্যান্ড দার্জিলিং’। মিলবে দেশ-বিদেশের সমস্ত শপিং মলে। কমলালেবু, মধু, আপেল, চা পাতা থেকে গরম পোশাক, উলের সামগ্রী। হলুদ, লঙ্কা, স্কোয়াশ থেকে, আদা, এলাচ, গরম মশলা। মাশরুম, অর্কিড ও পাহাড়ি ফুল, ঝাঁটা। পণ্যের তালিকায় যোগ হতে পারে পাহাড়ের টাটকা সবজিও। অল্প দিনের মধ্যেই অন্যান্য বহুজাতিক প্রথম সারির পণ্যের সঙ্গেই মিলবে এই ব্র্যান্ডও। মূলত অ্যাগ্রো বেসড এই ব্র্যান্ডকে বাজারে আনতে কোমর বেঁধে নেমেছে জিটিএ এবং রাজ্য মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর।
[ খুশির হাওয়া, সোমবার থেকে খুলে গেল নাগরাকাটার হিলা চা বাগান ]
জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং ‘দার্জিলিং’ নামেই পাহাড়ে জন্মানো ফল-সবজিকে বাজারে আনতে চান। এতে এই পণ্যগুলি বিক্রির একটা গ্লোবাল মার্কেট ধরার পাশাপাশি, পর্যটনের ক্ষেত্রেও এই ব্র্যান্ড আলাদা করে প্রচারের কাজ করবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা এর রাইট কেনার জন্য যোগাযোগ করছে বলে জানান জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ‘দার্জিলিং’ নামটির পক্ষেই বেশি মত রয়েছে। আমরাও এই নামেই বিপণন করতে চাই।” মূলত বাজারমূল্য ও উৎপাদকের বিক্রয়মূল্যের মধ্যে তারতম্য ঘোচানোর উদ্দেশ্যেই এই ব্র্যান্ডটির জন্ম বলেও বিনয়বাবু জানান। পাহাড়ের ৫০ হাজার ক্ষুদ্র চাষিদের এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
[ যৌনকর্মী সেজে বৃহন্নলাদের দাপাদাপি, দিঘায় নাজেহাল পর্যটকরা ]
শনিবার দার্জিলিংয়ে বৈঠক হয় রাজ্য মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের প্রতিনিধি, জিটিএ সদস্য এবং কৃষকদের মধ্যে। সেখানেই এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে বলে জানানো হয়েছে। ১৩-১৪ মার্চ দার্জিলিংয়ে যে শিল্প সম্মেলন রয়েছে, সেখানেই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে বলে জিটিএ-এর তরফে জানানো হয়েছে।
[ পারিবারিক অশান্তির জেরে মদ্যপ বাবাকে কুপিয়ে খুন করল ছেলে ]
কীভাবে ব্র্যান্ডটিকে বাজারে আনা হবে, তার একটা প্রাথমিক পরিকল্পনাও সেরে ফেলা হয়েছে। প্রথমেই পাহাড়ের বিভিন্ন দোকান ও শপিং মলগুলি, যারা বিভিন্ন স্থানীয় বাজার ও ক্ষেত থেকে সবজি ও ফল কিনে বিক্রি করে, সেগুলির সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যগুলিকে একটি ছাতার তলায় রেখে সেখানে নির্দিষ্ট পোশাক পরে বিক্রির জন্য রাখতে। প্রয়োজনে সিগনেচার মিউজিক ও সিগনেচার ডেকরেশনও করা হবে। এটা যত দ্রুত সম্ভব শুরু করতে বলা হয়েছে। পরে সমতলে ও রাজ্যের বাইরেও ওই নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের অধীনে মাল রপ্তানি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পরিচিত আন্তর্জাতিক অ্যাগ্রো মার্কেটিং কোম্পানি দার্জিলিং সাব ব্র্যান্ডে পাহাড়ের পণ্য বিক্রি করতে উৎসাহ দেখিয়েছে। তাদের মধ্যেই কোনও একটিকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এই বিষয়টিও রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.