Advertisement
Advertisement
ব্রেল

দৃষ্টিহীনদের জন্য ব্রেল ব্যালট, দমদম-বারাসতে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা কমিশনের

ভোটারদের সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় তুলতে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত কর্মী।

Braille ballot papers for visually impaired voters this LS.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:May 9, 2019 11:13 am
  • Updated:May 9, 2019 11:17 am  

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: দৃষ্টিহীনদের জন্য প্রতিটি বুথেই থাকছে ব্রেল ব্যালট পেপার। এছাড়া পারসন উইথ ডিজেবিলিটি (পিডব্লুডি) ভোটারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে হুইল চেয়ার রাখছে নির্বাচন কমিশন। বারাসত ও দমদম লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে এই ব্যবস্থা থাকবে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।

পিডব্লুডি ভোটারদের স্বার্থে নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম করা রয়েছে। এই ক্যাটাগরির ভোটাররা চাইলে ভোটদানের সময় একজনকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকতে পারেন। তবে যে ব্যক্তি তাঁকে ভোটদানে সাহায্য করতে কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন, তাঁকে ওই কেন্দ্রের ভোটার হতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে পিডব্লুডি ভোটারকে ভোটদানে সাহায্য করতে পারবেন ওই ব্যক্তি। এর পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রগুলিতে হুইল চেয়ার রাখা থাকবে। চলাফেরায় অক্ষম ব্যক্তিকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে বুথ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে কমিশন। সল্টলেক এবং বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি বুথ দোতলায় করা হয়েছে। তাই পিডব্লুডি ভোটারদের সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় তুলতে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করছে নির্বাচন দপ্তর। দৃষ্টিহীন ভোটারদের জন্য অন্যান্যবারের মতো এবারও ব্রেল ব্যালট থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন। প্রতিটি বুথে এই ব্যালট থাকবে। ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ব্যালট পরখ করে পছন্দের প্রার্থীর অবস্থান বুঝে নিতে পারবেন। প্রার্থীর নাম কত সিরিয়াল নম্বরে রয়েছে তা জেনে নিয়ে ইভিএম-এ গিয়ে সেই সিরিয়াল নম্বর খুঁজে ভোট দেবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন- তৃণমূল নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টায় উত্তপ্ত শ্যামনগর, কাঠগড়ায় বিজেপি]

বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের ক্ষেত্রেও কেন্দ্র পর্যন্ত একজন সাহায্যকারী নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। বিধাননগরের রাজারহাট-নিউটাউন পার্টে ২৮০টি, রাজারহাট-গোপালপুর পার্টে ২৫৯টি ও সল্টলেক পার্টে ২৭৮টি বুথ রয়েছে। এর প্রত্যেকটিতে দৃষ্টিহীনদের জন্য ব্রেল ব্যালট থাকছে। ২৯টি বুথ দোতলায়। সেখানে হইল চেয়ার এবং অতিরিক্ত কর্মী মজুত রাখা হবে। এর পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোট দিতে ইচ্ছুক কোনও ব্যক্তি আবেদন করলে তাঁকে কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসার দায়িত্ব কমিশন নেবে।

[আরও পড়ুন- সীতাকে মা বলেন রামচন্দ্র! ভাইরাল মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের ভিডিও]

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের সময় বিধাননগর গভর্নমেন্ট কলেজে স্ট্রংরুম খোলা হচ্ছে। ১১৫, ১১৬ ও ১১৭ নম্বর-এই তিন পার্টের জন্য স্ট্রংরুম নির্ধারিত থাকবে। ওখানেই মক পোলিং এবং কমিশনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ ও ১২ মে সকাল থেকে পোলিং অফিসারদের ফাইনাল ফেজের প্রশিক্ষণ হবে। রাজনৈতিক দলগুলির জন্য ৮ থেকে ১০ মে, এই তিনদিন মক পোলিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে প্রার্থী দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মক পোলিংয়ে অংশ নেবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধাননগর কলেজের নিউ ক্যাম্পাসে সিএপিএফ (কেন্দ্রীয় বাহিনী) থাকবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement