ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: শারীরিক সম্পর্কের পরেও বিয়েতে আপত্তি। তাতে আপত্তি ছিল প্রেমিকের। সম্পর্ক ছেড়ে বেরতে নাবালিকাকে চোর অপবাদে মারধর। এমনকী তার মাথার চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিক ও তার মায়ের বিরুদ্ধে। মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর।
নাবালিকার দাবি, বছর দেড়ের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মল্লিকপুরের শেখ রাজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সম্পর্ক চলাকালীন নাবালিকাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠায়। অভিযোগ, সেখানে জোর করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। নাবালিকা বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে পুরো ঘটনাটি জানায়। নাবালিকার পরিবার থানায় অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ নেয়। প্রেমিক শেখ রাজের পরিবার নাবালিকাকে পুত্রবধূ করার আশ্বাস দেয়। তারপর থেকেই ধারাবাহিকভাবে নাবালিকা তার প্রেমিক শেখ রাজের বাড়িতে যাতায়াত করত। একাধিকবার তাদের শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয় বলেই দাবি।
কয়েকদিন আগে নাবালিকা তার প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য চাপ দেয়। কারণ কিছুদিনের মধ্যেই সে আঠারো পার করবে। তারপর থেকেই প্রেমিকের পরিবারের আচরণ বদলে যায় বলেই দাবি। ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার করা হয় বলেই দাবি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় নাবালিকাকে প্রেমিক তার বাড়িতে ডেকে পাঠায়। তারপরই তাকে আলমারি থেকে টাকা বার করতে বলে। পিছন থেকে ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়। তাকে চোর অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে প্রেমিক শেখ রাজ ও তার মা মিনা বেগম। টানতে টানতে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় নাবালিকাকে। প্রতিবেশীদের সামনে তার মাথার চুল কেটে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
শুক্রবার সকালে নাবালিকা প্রেমিকার মাথার চুল কাটার ভিডিও ভাইরাল করে দেয় প্রেমিক শেখ রাজ। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই নাবালিকা। নাবালিকার পরিবার বারুইপুর থানায় প্রেমিক, তার মা মিনা বেগম ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। তদন্ত শুরু করে প্রেমিক ও তার মাকে গ্রেপ্তার করে বারুইপুর থানার পুলিশ। দু’জনের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নাবালিকার পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.