Advertisement
Advertisement

মিশন হস্টেলে ছাত্রের মৃত্যু, খুনের অভিযোগ পরিবারের

ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ খারিজ মিশন কর্তৃপক্ষের৷

Boy dies in Balurghat missionary school, family alleges murder

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 9, 2018 3:21 pm
  • Updated:July 9, 2018 3:21 pm  

রাজা দাস, বালুরঘাট: মিশন হস্টেলে থাকা একাদশ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দামাহারে বাসল এলাকায়৷ মিশনের পক্ষ থেকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে দাবি করা হলেও পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে৷ মৃত ছাত্রের নাম আরাফাত ইসলাম (১৮)। মিশন কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দিতে গেলে তাঁদের আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

[উন্নয়ন প্রকল্প খতিয়ে দেখতে আজ ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী]

জানা গিয়েছে, আরাফত ইসলাম নদিয়া জেলার ধুবুলিয়ার আলহাবিব মিশনারি স্কুলে ক্লাস ইলেভেনে ভরতি হয়। সেখানেই হস্টেলে থাকত সে। দিন তিনেকে আগে ওই ছাত্রকে মাথা ব্যথার কারণে ধুবুলিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক চিকিৎসার পর রাতেই আরাফতকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতে খিঁচুনি উঠলে তাকে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কৃষ্ণনগর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷ পরিবারকে খবর দেওয়ার পরেই রাতে মৃতদেহ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ গঙ্গারামপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুধু মাথা ব্যথায় মৃত্যু হয়েছে তা মানতে নারাজ পরিবারের লোকেরা। মৃতদেহের  মাথায় আঘাত ও রক্তের চিহ্ন দেখে খুন বলেই দাবি তাদের। এরপরই মৃতদেহ নিয়ে আসা স্কুল কর্তৃপক্ষদের আটকে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়  ও পরিবারের লোকেরা। মিশনের হস্টেলে ব়্যাগিং করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পুলিশি হস্তক্ষেপে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি৷

Advertisement

[ব্যান্ডেল স্টেশনে বসে হস্তমৈথুন, ফেসবুক লাইভে বিকৃতকামীকে চেনালেন তরুণী]

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ছেলেটি ধুবুলিয়া মিশনে পড়াশোনা করে। তার বাবা বীরভূমে থাকে। গত শুক্রবার আরাফতের মাথা ব্যথার কারণে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আর তার দু-একদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তার৷ এত কিছু ঘটে গেলেও পরিবারকে কোনও খবর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ আরাফতের মাথায় ক্ষত চিহ্ন দেখে পরিবারের অনুমান, তাকে খুন করা হয়েছে৷ গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। মিশনের সুপার মজিবর রহমান জানান, ঘটনার দিন তিনি মিশনে ছিলেন না৷ পরে খবর পান। ওই সময় পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ব়্যাগিং বা মারধরের মতো কোনও ঘটনায় ঘটেনি বলে দাবি মিশন কর্তৃপক্ষের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement