সোমনাথ পাল, বনগাঁ: চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশুমৃত্যু ও রোগীর পরিবারের লোককে ঘুসি মারার অভিযোগ। তুমুল উত্তেজনা ছড়াল বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিজনেরা। এই নিয়ে অবশ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[জমি বিবাদের জেরে জোড়া খুন, বলাগড়ে ধুন্ধুমার]
শনিবার সকালে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে বছর দেড়েকের এক শিশুকন্যা ভরতি হয় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, শিশুটি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। কিন্ত, রবিবার ভোর থেকে আমচকাই শিশুটির শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে শুরু করে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সকে বারবার বলা সত্ত্বেও, কেউ কোনও কর্ণপাত করেননি। কিছুক্ষণ পরেই শিশুটি মারা যায়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের বাড়ির লোকেরা। শিশুটির বাবা অপু মাতব্বরের অভিযোগ, তিনি যখন মেয়ের ডেথ সার্টিফিকেট আনতে যান, তখন দুর্ব্যবহার করেন বনগাঁ মহকুমার হাসপাতালের এক নার্স। এই নিয়ে অভিযুক্ত নার্সের সঙ্গে রোগীর পরিজনদের তর্কাতর্কি হয়। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন মৃতের বাবা ও জেঠাকে ঘুসি মারেন রীতেশ চক্রবর্তী নামে সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। অভিযুক্ত চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিজনেরা। হাসপাতালে সুপারের কাছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। যদিও এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ক্যাবের ধাক্কা লরিতে, শিশু-সহ মৃত্যু চালকের]
দিন কয়েক আগে চিকিৎসায় গাফিলতিতে এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটেছিল বনগাঁ। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও এক চিকিৎসকের চেম্বারে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। পুলিশের সঙ্গেও তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়েছিল।
[গলায় ধাতব পাত দিয়ে আঘাত, পুলিশি হেফাজতেই আত্মহত্যার চেষ্টা মধুমিতা মিস্ত্রির]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.