সোমনাথ পাল, বনগাঁ: উপলক্ষ্য যাই হোক না কেন, রক্তদান যে একটি মহৎ কাজ, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর সত্যি কথা বলতে, গ্রীষ্মকালে তেমনভাবে রক্তদান শিবির হয়ও না। ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্তের সংকটে চরমে পৌঁছয়। তাই সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চাননি স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেররা। রমজান মাসের উপোস বা রোজা ভেঙে রক্ত দিলেন তাঁরাও। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর বৈরামপুরে যৌথভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গোপালনগর থানার পুলিশ ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত।
[রোজা ভেঙে রক্ত দিয়ে মানবিক নজির মেটিয়াবুরুজের যুবকের]
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নতিতে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। পেসমেকার, স্টেন বসিয়ে কৃত্রিম উপায়ে সচল রাখা হচ্ছে হৃদযন্ত্র। মরণাপন্ন রোগী বেঁচে থাকছেন ভেন্টিলেশনে। কিন্তু, কৃত্রিমভাবে তো আর রক্ত তৈরি করা যায় না! কিন্তু, অস্ত্রোপচার করার সময়ে রোগীকে কিংবা দুর্ঘটনায় আহতদের অনেক সময়ই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন। আবার থ্যালাসেমিয়া কিংবা ব্লাড ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধিতে যাঁরা আক্রান্ত, তাঁদেরও নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। কিন্তু, এত রক্ত কোথায় পাওয়া যাবে? ভরসা রক্তদাতারাই। বছরভর যেমন এলাকার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বিভিন্ন ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, তেমনি আবার সরাসরি ব্লাড ব্যাংকে গিয়েও রক্ত দিতে পারেন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা। মঙ্গলবার পরিবেশ দিবসে বনগাঁয় বৈরামপুরে তেমনই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল গোপালনগর থানার পুলিশ ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। রক্তদান করলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও।
[বিস্ফোরণে হারিয়েছিল হাত, খুদে পৌলমীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য এসএফআই-এর]
এখন রমজান মাস চলছে। বছরের এই সময়ে দিনভর উপোস বা রোজা রাখেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা। সূর্যাস্ত না হওয়া পর্যন্ত জল খাওয়াও নিষেধ। কিন্তু, খালি পেটে তো আর রক্ত দেওয়া যাবে না! তাই রক্তদানের মতো এক মহৎ কাজে শামিল হওয়ার জন্য ধর্মীয় রীতিনীতির তোয়াক্কা করলেন না বনগাঁর বৈরামপুরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা। মাঝপথে রোজা ভেঙে রক্ত দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তাঁরা।
[রমজান মাসে ব্যস্ততা তুঙ্গে, এবার বর্ধমানের মহিলাদের তৈরি টুপি যাচ্ছে আরবে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.