জ্যোতি চক্রবর্তী,বনগাঁ: রাতের অন্ধকারে ভ্যানে করে যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে আমবাগানে ধর্ষণ (Rape), তারপর সেখানেই ফেলে পালাল অপরাধীরা। এমনই অভিযোগে শোরগোল ছড়াল বনগাঁ (Bongaon) সীমান্তের পেট্রাপোল সীমান্তে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে খলিদপুর এলাকার। গুরুতর জখম রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবতীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন সাধারণ মানুষ-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। পুলিশ তদন্তে নেমে শনিবার রাতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শাহজাদ মণ্ডল নামে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধেবেলা আত্মীয়ের বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল যুবতী।তাঁর বাড়ি বনগাঁ শহরের চাঁপাবেড়িয়া এলাকায়। পরিবারটি দিনমজুর। পরিবারের অভিযোগ, বনগাঁ থানার সামনে থেকে এক ভ্যান চালক তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেবে বলে ভ্যানে তুলে দেন। অভিযোগ, ভ্যানচালক মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে না দিয়ে পেট্রাপোল (Petrapole) থানার খলিদপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি জঙ্গলে তাঁকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার পাশে বসে যুবতীকে কাঁদতে দেখে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে পেট্রাপোল থানায় খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে যুবতীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করে৷ সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে শনিবার সকালে যুবতীর বাড়িতে যান বিজেপি, সিপিএম, তৃণমূলের নেতা,কর্মীরা। তৃণমূল (TMC) নেতা গোপাল শেঠ পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসা-সহ সবরকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। পুলিশকে ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়েছে।” বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। শহরের মধ্যে থেকে কী করে যুবতীকে তুলে নিয়ে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটানো হল? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতারা। পুলিশের নজরদারির অভাব রয়েছে বলে তারা দাবি করেছে। সিপিএমের (CPM) দাবি, বনগাঁ শহরে এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। দোষীদের গ্রেপ্তার না হলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা। তবে শনিবার রাতেই অভিযুক্ত শাহজাদ মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ায় ক্ষোভের আঁচ খানিকটা স্তিমিত হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.