সোমনাথ পাল, বনগাঁ: ১৫ বছরের পুরনো মামলায় অবশেষে বিচার পেল নির্যাতিতার পরিবার। পনেরো বছর আগে নিজের শ্যালিকাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল জামাইবাবুর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে আমৃত্যু সাজা দিল আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম নিরঞ্জন সরকার। শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা আদালতের ফার্স্ট ট্রাক ওয়ান কোর্টের বিচারক বিনয় কুমার পাঠক অভিযুক্তকে এই সাজা দেন। সাজা ঘোষণার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযুক্তের গোটা পরিবার।
২০০৩ সালের ৯ই জুন রাতে গাইঘাটা থানার শ্রীপুর গ্রামে নিজের খুড়তুতো শ্যালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে নিরঞ্জনের বিরুদ্ধে। মনসা মেলার মাঠ থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে নিজেরই খুড়তুতো শ্যালিকাকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করে অভিযুক্ত। এমনকি প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃত শ্যালিকার দেহ তাঁরই বাড়ির বারান্দায় টালির চালের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় সে। ঘটনার পরদিন সকালে অর্ধনগ্ন ও শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন থাকা অবস্থায় নির্যাতিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই গাইঘাটা থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ জানান মৃতার বাবা।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে কয়েক দিন পর জামিনে মুক্তি পায় সে। গত পনেরো বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়ায় ষোলোজনের সাক্ষ্য দান ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে গত ২৮ অক্টোরর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শুক্রবার বিচারক অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে অভিযুক্ত জানায় সে সম্পূর্ণ নির্দোষ। যদিও, তার সাফাই ধোপে টেকেনি। তাকে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সাজা দেন বিচারক। সরকারী আইনজীবী সমীর দাস বলেন, আইন মোতাবেক সঠিক বিচারই পেল মৃতার পরিবার। যদিও, আমৃত্যু কারাবাসের এই সিদ্ধান্তে হতচকিত অভিযুক্তের পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.