Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bonedi Barir Durga Puja

কলাবউ স্নানের রীতি নেই, লুচি-ছানায় উমা বন্দনা রানাঘাটের পালবাড়িতে

রানাঘাটে ব্যবসা করতে এসে বসতি স্থাপন করে দুর্গাপুজো শুরু করেন পালরা।

Bonedi Barir Durga Puja: Special rituals of Durga Puja at Palbari in Ranaghat
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:October 5, 2024 11:37 am
  • Updated:October 5, 2024 2:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনে ফাঁকা মাঠ। দূর থেকেই দেখা যায় বড় ইমারতটি। বাড়ির গায়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। কিছুটা অংশ ভাঙা। সেখানে মাথা তুলেছে ফার্ন। বাকি অংশ নতুন করে তৈরি করা। ভিতরে ঢুকলেই ঠাকুরদালান। সেখানে ব্যস্তমুখে দাঁড়িয়ে এক কর্তা। কত কাজ বাকি! একমনে প্রতিমায় শেষ তুলির টান দিচ্ছেন শিল্পী। আজ তৃতীয়া। সময় তো আর নেই। স্কুল ছুটির পর ঠাকুর কতটা হল উঁকি মেরে যাচ্ছে বাচ্চারা। নতুন রংয়ে সেজে উঠছে রানাঘাটের পালবাড়ি।

Bonedi Barir Durga Puja: Special rituals of Durga Puja at Palbari in Ranaghat
রানাঘাট পালবাড়ি।

শহরের পশ্চিম পাড়ের এই বনেদি বাড়ি(Bonedi Barir Durga Puja) সিংহ বাড়ি বলেও পরিচিত। ব্যবসার সূত্রে রানাঘাটে আসেন পালেরা। বর্তমান বিশ্বাসপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। পুজো শুরু করেন সাগরেশ্বর পাল। সেই পুজোর এবার ২৪৫ বছর।

Advertisement

রথযাত্রার দিন ঠাকুরদালানে দেবীর কাঠামো পুজো হয়। দেবীপক্ষের সূচনালগ্নে মায়ের চক্ষুদান করা হয়। একচালায় মা এখানে মহিষাসুরমর্দিনী। এই বাড়িতে কলাবউ স্নানের কোনও রীতি নেই। ঠাকুরদালানেই মায়ের বোধন হয়। নবমীতে কুমারী পুজো হয়। আগে ছাগল বলি  হলেও এখন তা বন্ধ।

মায়ের ভোগ পাঁচটা বাড়ির থেকে আলাদা। দেবীকে কোনও অন্নভোগ দেওয়া হয় না। সন্ধ্যা আরতির সময় চার গন্ডায় মোট ৬৪টি লুচির সঙ্গে ছানা,রসগোল্লা, কাজুবাদাম, কিশমিশ, পেস্তা, বাদাম ভিজিয়ে মাকে নিবেদন করা হয়। এই ভোগকে বৈকালি বলা হয়। এই বাড়িতে নবমীর দিন কাদা খেলা হয়। বির্সজনের পর নারায়ণ পুজো করা হয়।

Bonedi Barir Durga Puja: Special rituals of Durga Puja at Palbari in Ranaghat
ঠাকুরদালান।

সদস্য প্রিয়জিৎ পাল বলেন, “সাগরেশ্বর পাল এই পুজো শুরু করেন। মাকে কোনও অন্নভোগ দেওয়া হয় না। মূলত লুচি, ছানা এগুলি দেওয়া হয়। আমাদের কাদা খেলার নিয়ম রয়েছে। এবার পুজো তিন দিনের। শনিবার মাকে বির্সজন দেব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

  • সামনে ফাঁকা মাঠ। দূর থেকেই দেখা যায় বড় ইমারতটি। বাড়ির বয়সের ছাপ স্পষ্ট। কিছুটা অংশ ভাঙা। সেখানে মাথা তুলেছে ফার্ন। বাকি অংশ নতুন করে তৈরি করা। ভিতরে ঢুকলেই ঠাকুরদালান।
  • সেখানে ব্যস্তমুখে দাঁড়িয়ে এক কর্তা। কত কাজ বাকি। একমনে প্রতিমায় শেষ তুলির টান দিচ্ছেন শিল্পী। আজ তৃতীয়া। সময় তো আর নেই। স্কুল ছুটির পর ঠাকুর কতটা হল উঁকি মেরে যাচ্ছে বাচ্চারা। নতুন রংয়ে সেজে উঠছে রানাঘাটের পালবাড়ি।
  • শহরের পশ্চিম পাড়ের এই বনেদি বাড়ি সিংহ বাড়ি বলেও পরিচিত। ব্যবসার সূত্রে রানাঘাটে আসেন পালেরা। বর্তমান বিশ্বাসপাড়ায় বাড়ি তৈরি করে বসাবাস শুরু করেন তাঁরা। তার পর থেকে পুজো শুরু করেন সাগরেশ্বর পাল।
  • Advertisement