বিক্রম রায়, কোচবিহার: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটায়। শনিবার দুপুরে বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর জনসংযোগ কর্মসূচিতে চলল গুলি, বোমাবাজি। পাথরের আঘাতে মন্ত্রীর গাড়ির কাঁচ ভাঙে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সম্পূর্ণ নিরাপদেই রয়েছে। প্রাথমিক বিশৃঙ্খলা সামলে তিনি মিছিলও করেন। অভিযোগের তিরে তৃণমূল। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ, সিআইএসএফের নিরাপত্তা বলয় ভেঙে কীভাবে গুলি, বোমা চলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বড়সড় অশান্তি এড়াতে এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল। আর তার পালটায় তৃণমূলের (TMC) তরফে ঠিক হয়, নিশীথ যখন এলাকায় আসবেন, তখন তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হবে। তবে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এদিন এলাকায় মন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল যথেষ্ট পুলিশ, সিআইএসএফ (CISF)। তবু সংঘর্ষ এড়ানো গেল না। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় আটকে কালো পতাকা দেখান, স্লোগান তোলেন। পাথরও ছোঁড়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ তৃণমূল সমর্থকদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালটা কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়ে পুলিশ।
এমনই সময় আচমকা জনবহুল এলাকায় গুলির শব্দ পাওয়া যায়, চলে বোমাবাজি। তৃণমূল-বিজেপির (BJP) মধ্যে সংঘর্ষে এই ঘটনা বলে অনুমান। তবে গুলি, বোমায় কেউ জখম হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি। এনিয়ে নিশীথ প্রামাণিকের প্রতিক্রিয়া, ”এখানে আগে থেকেই আমাদের উপর হামলার ছক করা হয়েছিল। আর পুলিশকে দেখুন না, আমাদের নিরাপত্তা দেবে কী? তাদের ব্যারিকেড তো হামলাকারীদের বাঁচাতে। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। রাজ্যের মানুষ তো দেখছেন কী হচ্ছে।”
বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”তৃণমূল নিশীথের কনভয়ের উপর হামলায় জড়িত নয়। খেয়েদেয়ে কাজ নেই তাকে কনভয়ের বিঘ্ন ঘটিয়ে তাকে প্রচারে এনে দেওয়া হবে। লোকের ক্ষোভ ছিল। হিন্দু-মুসলমান জাতি,ধর্মের ভাগ নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। রাজবংশী মেরে রাজবংশী প্রেম দেখাচ্ছে। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অসহনশীল দল বিজেপি। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। তৃণমূলের কোনও কর্মসূচি ছিল না। একটা ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। তারা এলাকা গরম করে রেখেছে। নিশীথের স্থানীয় ক্যাডার আর কেন্দ্রীয় বাহিনী হামলা করছে। সাধারণ মানুষের উপর। সবসময একটা রাজনৈতিক কারণ নাও থাকতে পারে। একটা ছেলেকে যদি ১৮০ টা গুলি করে মারা হয়। স্থানীয়রা ক্ষোভ দেখিয়েছেন। এটা তাঁর নিজের ব্যর্থতা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.